বগুড়া ধুনটে থার্টিফার্স্ট নাইটে পার্টির টাকা যোগান দিতে ফিল্মি স্টাইলে জনৈক ফ্লেক্সিলোড এবং বিকাশ ব্যবসায়ীর নিকট থেকে মোটরসাইকেল, মোবাইল এবং টাকা ছিনতাইয়ের সময় জনতার হাতে ধরা পরেছে ৩জন, তবে এ ঘটনায় পালিয়ে গেছে আরো ১ জন।
এ বিষয়ে ধুনট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৩১শে ডিসেম্বর শনিবার রাত ১১ টার দিকে বগুড়া জেলার উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের মথুরাপুর বাজারের ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ী ছাতিয়ানী (উত্তরপাড়া) গ্রামের আঃ মজিদ শেখের ছেলে মোহাম্মদ মজনু আলম(২৮) ব্যবসায়িক কাজ শেষে দোকান বন্ধ করে মথুরাপুর বাজার থেকে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার পথে কাশিয়াহাটা ঈদগা মাঠ সংলগ্ন জায়গায় পৌঁছালে বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের নুরু শেখের ছেলে মোঃ আকাশ ইসলাম ওরফে খলিল (১৯), রহমতপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে শামীম তানভীর (২২) ও সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানার লাঙ্গলমোড়া (উত্তর পাড়া) গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে আশিক হাসান ওরফে মুন্না(১৯) এবং রাকিব নামের অজ্ঞাত পরিচয়ের যুবক মিলে রাস্তায় আড়াআড়ি ভাবে পথরোধ করেন।
মজনু মোটরসাইকেল থামানোর সঙ্গে সঙ্গেই তার মোবাইল এবং মোটরসাইকেল এর চাবি এবং কাছে থাকা নগদ টাকা কেড়ে নেয়, কৌশলে মজনু সেখান থেকে কেটে পড়ে স্থানীয়দের ডাকাডাকি শুরু করে।
পরবর্তীতে স্থানীয় জনতা এবং মথুরাপুর বাজারের নাইট গার্ড এর সহযোগিতায় উক্ত তিন ব্যক্তিকে ধরে ফেলে কিন্তু রাকিব নামক অজ্ঞাত ব্যাক্তি কৌশলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
ধরা পরার পর ধৃতরা স্বীকার করেছে যে, থার্টিফাস্ট নাইট উদযাপন করতে তারা এই উদ্যোগ নেয়।
উপজেলার শ্যামগাতী গ্রামের মৃত কেফাত আলীর ছেলে আব্দুল হামিদ(৪৫) জানান, মজনু আলমের চিৎকার শুনে আমরা দৌড়ে গিয়ে যুবকদের ধরে ফেলি, আমাদের সবার সচেতন হওয়া উচিত। এলাকায় বাইরের ছেলে পেলে আনাগোনা বেশি হয়ে গেছে, গভীর রাতে বাইরের ছেলে পেলে দেখলেই ধরে থানায় খবর দেওয়া উচিত।
এ বিষয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন এলাকাবাসী।