জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ৭০৮ জনের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। তালিকা প্রকাশের পর তথ্য সংযোজন ও সংশোধনের সুযোগ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া তালিকায় নাম না থাকলে তা-ও অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ আছে। তবে সে জন্য অনুসরণ করতে হবে একটি প্রক্রিয়া।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদদের মধ্যে যদি কারও নাম এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হয়ে থাকে, তাহলে শহীদ পরিবারের সদস্য বা ওয়ারিশ বা প্রতিনিধিদের উপযুক্ত প্রমাণসহ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক বা সিভিল সার্জন বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

তালিকা কীভাবে সংশোধন করা হবে, তার একটি নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। গতকাল বুধবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকায় নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, জন্মতারিখ, লিঙ্গ, ঠিকানা ইত্যাদিতে কোনও সংশোধন এবং নতুন কোনও নাম ওই তালিকায় অন্তর্ভুক্তির প্রয়োজন হলে তা জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বাধীন গঠিত কমিটি বরাবর উপস্থাপন করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

কমিটি উপস্থাপিত তথ্যের সত্যতা যাচাই করে আগামী ৬ অক্টোবরের মধ্যে উপস্থাপিত তথ্য যাচাই-বাছাই করে (সংশোধিত, সংযোজিত এবং বাতিলকৃত) অনলাইনে সংশোধনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এরপর পূর্ণাঙ্গ নির্ভুল তালিকা ই-মেইলে পাঠাবে এবং স্বাক্ষরিত হার্ডকপি ডাকযোগে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা-১ শাখার উপসচিব বরাবর পাঠাতে হবে।

চিঠিতে প্রদত্ত নির্দেশনা মোতাবেক জেলা প্রশাসকদের শহীদদের তালিকা চূড়ান্তকরণে অংশীজনদের মতামত, পরামর্শ ও অন্তর্ভুক্তিযোগ্য নতুন তথ্য-উপাত্তগুলো যাচাই-বাছাই এবং অনলাইনে সংশোধন করে নির্ভুল তালিকা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ বরাবর পাঠানোর প্রয়োজনীয় নির্দেশনাদানের জন্য অনুরোধ করা হয়।

জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে গঠিত কমিটিতে আছেন জেলা পুলিশ সুপার, মেডিক্যাল কলেজ/জেলা সদর হাসপাতালের পরিচালক/তত্ত্বাবধায়ক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (সংশ্লিষ্ট উপজেলা), সমাজসেবা অধিদফতরের উপপরিচালক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমন্বয়ক (দুজন), উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, জেলা সিভিল সার্জন।

কমিটির কার্যপরিধি সম্পর্কে বলা হয়েছে, প্রতিটি জেলার শহিদ ও আহতদের তালিকা সরেজমিনে যাচাই-বাছাইকরণ; প্রেরিত তালিকায় কোনও তথ্য অসামঞ্জস্যপূর্ণ বা অসম্পূর্ণ থাকলে তা নির্ভুল ও সম্পূর্ণকরণ; ভুল তথ্য পাওয়া গেলে তা বাতিল করার সুপারিশকরণ; তালিকাবহির্ভূত কোনও শহিদ এবং তার পক্ষে সঠিক তথ্য পাওয়া গেলে তা বিদ্যমান তালিকায় অন্তর্ভুক্তকরণে ব্যবস্থা গ্রহণ।