হিন্দু ধর্মালম্বীদের মহাউৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৩ মেট্রিক টন (৩ হাজার কেজি) ইলিশ মাছ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে রপ্তানি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত তিনটি পিকআপে করে মাছগুলো ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় রপ্তানি করা হয়। রপ্তােিনেত প্রতি কেজি ইলিশের ভারতীয় বাজার মূল্য ধরা হয়েছে ১০ ডলার। আখাউড়া স্থলবন্দর থেকে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের দায়িত্বে থাকা আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল’র স্বত্বাধিকারী মোাঃ আক্তার হোসেন বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে দেশের ৪৯টি মাছ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ৫০ টন করে ইলিশ রপ্তানি করার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। প্রতি কেজি ইলিশের ভারতীয় বাজার মূল্য ধরা হয়েছে ১০ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ হাজার ১৮০ টাকা। তবে আগামী ১৩ অক্টোবরের পূর্র্বে এসব ইলিশ রপ্তানি শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আরও একাধিক ইলিশের চালান আগরতলায় যাওয়ার কথা রয়েছে বলেও জানান তিনি। আখাউড়া কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশি ইলিশ মাছ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বিডিএস কর্পোরেশন এবং ভারতের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হিমপেক্স ইন্টারন্যাশনাল এসব ইলিশ বাণিজ্য করছে। এবং আখাউড়া স্থলবন্দর থেকে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের দায়িত্বে রয়েছে আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্র্যাফিক) মাহমুদুল হাসান জানান, স্থলবন্দরে ইলিশ মাছ ভর্তি একটি পিকআপ ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। ইলিশ মাছ রপ্তানিতে স্থলবন্দর মাশুল পাবে। কাগজ পত্রের কাজ শেষে যাতে দ্র্রুুত ভারতে প্রবেশ করতে পারে সেজন্য আমাদের পক্ষথেকে যথাসমম্ভব সহযোগিতা করা হবে। আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে রপ্তানির প্রথম চালান ভারতে পাঠানো হচ্ছে। উল্লেখ্য, ভারতের কলকাতার মাছ আমদানিকারকদের সংগঠন ফিশ ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (এফআইএ) থেকে গত ৯ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ থেকে ইলিশ রফতানির অনুমোদনের বিষয়টি বিবেচনার অনুরোধ জানানো হয়। পরে বিশেষ বিবেচনায় সরকার ভারতে ২ হাজার ৪২০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়।