‘সরকারের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি, সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের দুর্নীতি ও লুটপাটে দেশ এখন খাদের কিনারায়। উন্নয়নের মুলা ঝুলিয়ে সরকার এখন মানুষের হাতে হারিকেন ধরিয়ে দিছে। এখন আরেকটা বাঁশ ধরিয়ে দেওয়ার পালা।’ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে যুব অধিকার পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত ‘দুর্নীতি বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ’-এ মন্তব্য করেন গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
নুর আরও বলেন, ‘সরকারের গোঁজামিলের উন্নয়নের ফুলঝুরি ও ভাঁওতাবাজির এখন জনগণের সামনে দৃশ্যমান। সরকার দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে দেশে প্রয়োজনের তুলনায় বিদ্যুৎ উৎপাদন বেশি হচ্ছে, ভবিষ্যতে বিদেশে রপ্তানি করবে। অথচ এখন দেশেই বিদ্যুতের হাহাকার। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সরকার ২৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম, দেশে প্রয়োজন ১৫ হাজার মেগাওয়াট। তাহলে সংকট কেন? কুইক রেন্টালের নামে দলীয় নেতা-কর্মীদের কুইক দুর্নীতি ও লুটপাটের সুযোগ দিতে প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়া হচ্ছে। সরকারের ভাঁওতাবাজি আর গোজামিলের হিসাবে জনগণের উন্নয়ন হয়নি, হয়েছে মাফিয়া লুটেরাদের। গত ১০ বছরে ৭০ হাজার কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ দেয়া হয়েছে।’
গণঅধিকার পরিষদ এর যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, ‘শতভাগ বিদ্যুতের নামে বিদ্যুতের ফেরিওয়ালা সরকার মানুষের হাতে শতভাগ হারিকেন ধরিয়ে দিয়েছে। কুইক রেন্টালের নামে কুইক দুর্নীতি করে বিদ্যুৎ খাতকে ধ্বংস করা হয়েছে।’
গণঅধিকার পরিষদ এর যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হানিফ বলেন, ‘সরকার উন্নয়নের নামে লুটপাট করছে, তাই তো দেখতে পাই সন্ধ্যা হলেই ঘরে ঘরে মোমবাতি। এই সরকার ভালো মানুষের জন্য নয়, এই সরকার চোর বাটপারদের সরকার। ২০২৩ সালের নির্বাচনকে নিয়ে সরকার আসন ভাগাভাগির যে ষড়যন্ত্র করছে তা কোনোভাবে বাস্তবায়ন হতে দিবে না গণঅধিকার পরিষদ।’
বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদ এর যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হানিফ, সাদ্দাম হোসেন, শাকিলউজ্জামান, যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুজ জাহের, তারেক রহমান, সহকারি আহ্বায়ক খায়রুল কবীর। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন যুবঅধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আবু তৈয়ব, রাসেল মুন, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।