ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের ইসলামের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে জেলার বিভিন্ন জায়গায় দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে।
রোববার (২৮ মার্চ) বেলা ১১টার পর থেকে জেলা সদর, আশুগঞ্জ, সরাইলের একাধিক স্থানে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ভাঙচুর হয়েছে ব্যাপক।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রইছ উদ্দীন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১১টার পর জেলা পরিষদ ভবনে আগুন দেওয়া হয়। নিচতলার অনেক কক্ষে আগুন দেওয়াতে এসি বিস্ফোরণ হয়। সুরসম্রাট আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গন, পৌরসভায় ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। আগুন দেওয়া হয় সদর উপজেলা ভূমি কার্যালয়ে। হামলা হয়েছে সদর থানায়, প্রেসক্লাবে। এছাড়া, জেলার ইন্ড্রান্ট্রিয়াল স্কুল উন্নয়ন মেলার ২০-২৫টি স্টলে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে হেফাজতের নেতা-কর্মীরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে আশপাশের ড্রেন থেকে কংক্রিটের স্ল্যাব উঠিয়ে রেললাইনে রাখা হয়েছে। স্টেশনের কাছের রেলগেটের ব্যারিকেড বাঁকা করে ফেলা হয়েছে। রেললাইনের ক্ল্যাম খুলে ফেলা হয়েছে।
তালশহর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের মাঝখানে একটি সেতুতেও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মূল সড়কের অনেক স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ফেলে রাস্তা আটকে রাখতেও দেখা যায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবেও হামলা হয়েছে, কাচ ভেঙে ফেলা হয়েছে। প্রেসক্লাবের সভাপতি দৈনিক জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার রিয়াজউদ্দিন জামি প্রেসক্লাবে ঢোকার সময় তার ওপর হামলা করা হয়। তার মাথায় ছয়টি সেলাই লেগেছে।
আশুগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজায় থাকা পুলিশ ফাঁড়িতে আক্রমণ করে হরতাল–সমর্থনকারীরা। এ সময় পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। টোল আদায়ের বুথ ভাঙচুর করা হয়। সরাইলের বিশ্বরোড এলাকায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, জেলার প্রতিটি রাস্তার মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য রয়েছে। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।