গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী থেকে সাম্প্রতিককালে ৪৯টি কম্পিউটার চুরির ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার ও সরকারি বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সুনাম ধারী সাবেক সফল ভিপি নজরুল ইসলাম হিরার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ও মনগড়া অপপ্রচার ও তদন্ত কমিটি থেকে অব্যাহতি দেয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ঐ কলেজের সাবেক ভিপি, জিএস, এজিএসসহ ছাত্র-ছাত্রী সংসদের সদস্যবৃন্দ।
গত বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় সরকারি বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্র-ছাত্রী সংসদের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ সংবাদ-সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কলেজের সাবেক ভিপি আতিকুর রহমান পিটু।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বশেমুরবিপ্রবি’র কম্পিউটার চুরির ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ভিসি’র অনুমতি নিয়ে চোরচক্রকে ধরতে পুলিশকে সহযোগিতা করেন সহকারী রেজিস্ট্রার নজরুল ইসলাম হিরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থান্বেষী একটি মহল নজরুল ইসলাম হিরার প্রশংসনীয় কর্মকাণ্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ ও সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে মনগড়া, ভিত্তিহীন ও আপত্তিকর অপপ্রচার চালাচ্ছে। এ ধরণের অপপ্রচারে সরকারি বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্র-ছাত্রী সংসদের সাবেক সদস্যবৃন্দসহ গোপালগঞ্জের ছাত্র সমাজ হতাশ ও ক্ষুব্ধ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার চুরির সঙ্গে জড়িত ও প্রকৃত মদদদাতাদেরকে রক্ষাসহ প্রকৃত ঘটনাকে ধামাচাপা ও ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে যে অপপ্রয়াস চালানো হচ্ছে সংবাদ-সম্মেলনের মাধ্যমে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন কম্পিউটার চুরির ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত ৭ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত-কমিটির একজন সদস্য হওয়া সত্ত্বেও কি উদ্দেশ্যে নজরুল ইসলামকে অব্যহতি দেয়া হলো, তার যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করছি।
সংবাদ-সম্মেলনে নজরুল ইসলাম হীরা বলেন, আমাকে তদন্ত কমিটি থেকে অব্যহতি দেওয়া পত্রে স্পষ্ট কোন কারণ উল্লেখ ছিল না। প্রকৃত অপরাধিদের আড়াল করে বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার উদ্দেশ্যে তদন্ত কমিটি থেকে আমাকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে বলে আমি মনে করি।
সংবাদ-সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিল, সরকারি বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক ভিপি এস এম মাহামুদ, গাজী সিহাবউদ্দিন, মো. আলিমুজ্জামান আলীম, মো. আব্দুল্লাহ আসিফ জামান (উপল) ও মো. শরিফুল ইসলাম, জিএস মো. মিজানুর রহমান মিজান, শেখ ইব্রাহীম খলিল, আল হোসাইন মামুন, নীহার কান্তি বিশ্বাস, এস এম মারুফ রাসেল, এজিএস শেখ মো. হুমায়ুন কবিরসহ ছাত্র-ছাত্রী সংসদের সাবেক সদস্যবৃন্দসহ বিপুলসংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী।