উত্তরবঙ্গ সহ দেশের বিভিন্ন জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও মধুমতি নদীর পানি বেড়েছে গোপালগঞ্জ জেলার সদর, কাশিয়ানী, মুকসুদপুর ,কোটালীপাড়া, টুংগীপাড়াসহ ৫ উপজেলার নিম্নাঞ্চল।
মধুমতি নদী সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। ফসলি জমি, না রাস্তাঘাটসহ বসতভিটা নদীর বুকে বিলীন হচ্ছে।
শত শত পরিবার আশ্রয় নিয়েছে স্কুল ও রাস্তার উপর কুঁড়েঘর তৈরি করে। জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে বর্ষা মৌসুমের ধানসহ বিভিন্ন জাতের ফসল। দেখা দিয়েছে গো-খাদ্য সংকট, ভেসে গেছে মৎস্য ঘের, সর্বস্বান্ত হয়েছে মৎস্য চাষীরা। কর্ম হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছে কৃষি কাজের সঙ্গে যুক্ত কৃষক ও শ্রমিকেরা।
বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকটে ভুগছে বন্যায় আক্রান্ত দরিদ্র পরিবারগুলো।
স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ সামগ্রী দিলেও প্রয়োজনের তুলনায় সেটা অপ্রতুল বলে মনে করছেন গোপালগঞ্জের সচেতন মহল।
বন্যায় আক্রান্ত পরিবারগুলো তেমন কোন ত্রাণ না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। তারা অভিযোগ করে বলেন ত্রাণের থেকে ফটোতুলে ফেসবুকে ছাড়তেই বেশি ব্যস্ত থাকে প্রশাসন ও চেয়ারম্যান মেম্বরেরা।