সাম্প্রতিক সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যর্থতার রাজনৈতিক মূল্যায়ন শুরু করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিশেষ করে, সাংগঠনিক দুর্বলতা চিহ্নিত করার পাশাপাশি পরিস্থিতি মোকাবিলায় দায়িত্বশীলদের কার কী ভূমিকা ছিল, কারা পদে থেকেও মাঠে ছিলেন না, তা চিহ্নিত করার নির্দেশনা দিয়েছেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। সে লক্ষ্যে এরই মধ্যে গত মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) থেকে কাজ করেছেন সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক ও সিরাজগঞ্জ সদর আসনের সংসদ সদস্য ড. জান্নাত আরা হেনরীর নেতৃত্বে দলটির দায়িত্বশীল নেতারা। সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক ও সিরাজগঞ্জ সদর আসনের সংসদ সদস্য ড. জান্নাত আরা হেনরীর নেতৃত্বে গত মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সিরাজগঞ্জ সদর ও কামারখন্দ আসনের সংসদ সদস্যসের দিক নির্দেশনায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি/সাধারন সম্পাদক সহ জেলা আওয়ামী লীগের নেত্রী বৃন্দ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি/সাধারন সম্পাদক ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক দলীয় চেয়ারম্যানসহ দলটির দায়িত্বশীল নেতারা বিএনপি জামাত ও ছাত্রদলের বিভিন্ন নাশকতা মোকাবেলা করতে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জরুরী আলোচনা সভা করা হয়। গত বুধবার (১৭ জুলাই) সিরাজগঞ্জ-২ (সদর ও কামারখন্দ) আসনের এমপি ড. জান্নাত আরা হেনরী দলীয় কার্যালয় অবস্থান করে এবং সকল নেতা কর্মীদের সাথে আলোচনা করেন। জেলা আওয়ামী লীগের সকল নেতা কর্মী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সকাল সহযোগী সংগঠন ও কামারখন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীসহ সকল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীসহ সিরাজগঞ্জ শহরের বিভিন্ন জায়গায় আবস্থান নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেন। এছারা উত্তর বঙ্গের প্রবেশদার বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে সিরাজগঞ্জ জেলার সকল উপজেলা থেকে বিএনপি, জামাত মহাসড়কের যে কোন নৈরাজ্য না করতে পারে সেজন্য এমপি নিজে অবস্থান করে সিরাজগঞ্জ সদর ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও স্থানীয় জনসাধারণ সাথে নিয়ে নিজ উদ্যোগে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিজ কার্যালয়ে তাদের সাথে মতবিনীময় করে এবং পরবর্তিতে বাজার স্টেশনে আলোচনা সভা ও বিক্ষোভ মিছিল করা জন্য নির্দেশনা দেন। হামলায় আহত পুলিশ সদস্যসহ সরকারি কর্মকর্তাদের খোজ খবর নিতে হসপাতালে দেখতে যান এবং সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করেন। গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশন মুক্তির শোপানে মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী সংগঠনে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে আলোচনা সভা করেন এবং বিভিন্ন কর্মসূচি শেষ করে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আবস্থান করেন এবং জেলা আওয়ামী লীগসহ সকল সহযোগী সংগঠনকে সাথে নিয়ে রাজপথে পথে এমপি মহোদয় নিজে আবস্থান করেন এবং পরিস্থিতি মোকাবেলা করেন। যে সব জায়গা ঝুঁকিপূর্ণ সেই জায়গায় নিজে সাথে থেকে নেতা কর্মীকে উৎসাহ দেন এবং বিএনপি, জামাত-শিবির ও ছাত্রদলের ধংসাস্তক কর্মকান্ড প্রতিরোধ করেন। নিজ বাসভবনের জেলা আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠন নিয়ে আলোচনা ও দিক নিদেশনা দেন। গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) বিএনপি, ছাত্রদল, জামাত-শিবিরের এর নেতৃত্ব পার্টি অফিস সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করতে না পারে, সেজন্য দলীয় নেতাকর্মী সাথে নিয়ে রাজপথে আবস্থান করেন। এক পর্যায়ে বিএনপি, জামাত-শিবির, ছাত্রদল সন্ত্রাসী বাহীনিকে মোকাবেলা করতে আওয়মীলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি অফিস ভাঙ্গচুর ও অগ্নীসংযোগ করে। বিএনপি জামাতের সকল নাশকতা প্রতিরোধ করতে গিয়ে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন দলীয় নেতাকর্মী আহত হন। তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যাবস্থা করেন পরিবারের খোঁজ খবর নেন এবং সম্পূর্ন চিকিৎসার খরচ বহন করেন। গত শনিবার (২০ জুলাই) কারফিউ চলা কালীন দুপুর ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত শিথিল থাকায় জেলা আওয়ামী লীগ, সিরাজগঞ্জ সদর ও কামারখন্দ থানা আওয়ামীলীগসহ সকল সহযোগী সংগঠনকে নিজ বাসভবন ডেকে বিভিন্ন দিক নিদেশনা দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান করেন। গত রবিবার (২১ জুলাই) কারফিউ চলা কালীন সময় দুপুর ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত শিথিল থাকায় জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনকে নিজ কার্যালয়ে ডেকে কারফিউতে ক্ষতিগ্রস্থ, দিনমজুর মানুষের পাশে দাড়ানোর আহবান জানান এবং আহত ও অসুস্থ নেতাকর্মীদের খোঁজ খবর নেয়ার জন্য নির্দেশনা দেন। পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় দুস্থ ও গরীব অসহায় মানুষের মাঝে নিজ উদ্যোগে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করেন, যা এখনো চলমান। পাশাপাশি সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব শামিম তালুকদার লাবুর উদ্যোগে উক্ত কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। প্রকাশ থাকে যে, জামাত-বিএনপির হামলায় গুরুতর আহত ৩ জনকে ঢাকা চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। গত সোমবার (২২ জুলাই) কারফিউ চলা কালীন সময় দুপুর ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত শিথিল থাকায় জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনকে নিজ কার্যালয়ে ডেকে কারফিউতে ক্ষতিগ্রস্থ, দিনমজুর মানুষের পাশে দাড়ানোর আহবান জানান এবং আহত ও অসুস্থ নেতাকর্মীদের খোজ খবর নেয়ার জন্য নির্দেশনা দেন। পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় দুস্থ ও গরীব অসহায় মানুষের মাঝে নিজ উদ্যোগে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করেন, যা এখনো চলমান। গত মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) কারফিউ চলা কালীন সময় দুপুর ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত শিথিল থাকায় জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনকে নিজ কার্যালয়ে ডেকে কারফিউতে ক্ষতিগ্রস্থ, দিনমজুর মানুষের পাশে দাড়ানোর আহবান জানান এবং আহত ও অসুস্থ নেতাকর্মীদের খোজখবর নেয়ার জন্য নির্দেশনা দেন। পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় দুস্থ ও গরীব অসহায় মানুষের মাঝে নিজ উদ্যোগে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করেন, যা এখনো চলমান। গত বুধবার (২৪ জুলাই) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন দিক নিদের্শনার বাস্তবায়ন করার জন্য মাননীয় এমপি মহোদয় নিজ বাসভবনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান, সদর থানা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ, কামারখন্দ থানা আওয়ামী লীগ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে জরুরি মিটিং করেন, তাদের সাথে আলোচনা শেষে রাজপথে থেকে বিএনপি জামাত-শিবির ও ছাত্রদলের দুস্কৃতকারীরা যেনো কোন অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে সেই ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকার আহবান জানান। সংঘর্ষের সময় থেকে এখনও মাঠে আছি দাবি করে সিরাজগঞ্জ সদর আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক ড. জান্নাত আরা হেনরী বলেন, ‘নেত্রী আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন আমি যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করেছি। আমাদের নেতাকর্মীদের সতর্ক অবস্থানের কারণে চেষ্টা করেও সিরাজগঞ্জে কোনো সহিংসতা চালাতে পারেনি। আমরা ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বসছি, কোথায় কী ভুল ছিল সেগুলো চিহ্নিত করা হচ্ছে। সেগুলো দূর করে সমন্বয় করা হচ্ছে। সবার মনোবল চাঙ্গা করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং দলের মধ্যে ঐক্য সুদৃঢ় করতে কাজ চলছে। সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড মোকাবিলা করতে নেতাদের মানুষের কাছে যাওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সহিংসতা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সমন্বয় সভা করা হয়েছে। সংগঠনকে আরও শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ করতে দলের সিনিয়র নেতা, দলীয় সংসদ সদস্য, দলীয় কাউন্সিলর এবং সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সমন্বয় করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।