বৈষম্যবিরোদী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে গত ৫ আগষ্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে চলে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করার কথা শুনে আত্মগোপনে চলে যায় ধামরাই থানার ওসিসহ সকল পুলিশ। এরপর থেকে থানার সেবার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু থানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোন লোকজন না থাকায় থানা থেকে সকল প্রকার সেবা বন্ধ ছিল। এরপর ড. মোহাম্মদ ইউনুসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তরবর্তীকালীন সরকার গঠনের পর স্বরাষ্ট উপদেষ্টা নির্দেশে সেনাবাহীনির সহযোগীতায় ১৩আগষ্ট থেকে ধীরে ধীরে থানায় যোগ দিতে থাকে পুলিশ। পুলিশ থানায় যোগদান করলেও আগের ওসি না থাকায় স্থবির হয়ে পরে থানার সকল কার্যক্রম। দীর্ঘ ৪০ দিনপর থানায় নতুন ওসি যোগদান করার পর থেকে কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে ধামরাই থানা। ধামরাই উপজেলার মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছেন বলে জানিয়েছে সাধারণ জনগণ। ধীরে ধীরে সব কিছু স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে ধামরাই থানার কার্যক্রম। পুলিশের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে ভীতি ও শঙ্কা কাটতে শুরু করেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন ধরণের অভিযোগ, হারানো জিডি, জমি সংক্রান্ত জিডি ও মামলার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। এতে থানা চত্বরে দেখা যায় মানুষের ভীর। শষ্কা কাটিয়ে পুরুদমে চালু করেছে পুলিশের কার্যক্রম। এই সময় কথা হয় অভিযোগ নিয়ে আসা মোঃ কদ্দুছ আলী নামে এক ব্যাক্তির সাথে, তিনি নবচেনার এর প্রতিনিধিকে বলেন, আমার মার্কেটের চুক্তির বিষয় নিয়ে একটি অভিযোগ দিয়েছি, ওসি স্যার আমাকে বলেছে সঠিক তদন্ত করে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই বিষয়ে থানার সামনে মুদি দোকানদার মোঃ জনি আহম্মেদ বলেন, এতদিন তো থানায় কোন লোকজন ছিল না। ওসি স্যার যোগদানের পর এখন থানার কার্যক্রম চালু হওয়ায় থানায় মানুষ বাড়তে শুরু করেছে। এই বিষয়ে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের থানায় চেয়ার,টেবিল, কম্পিউটার পর্যাপ্ত না থাকায় কাজ করতে একটু অসুবিধা হচ্ছে। তবে আগের চেয়ে থানার পরিবেশ এখন ভালো। ধীরে ধীরে সেবা নিতে আসা লোকজনের আনাগোনা বাড়ছে। আমরাও মানুষের সেবা দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আপনারা আমাদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন।