খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, আমাদের দেশের লোকসংস্কৃতির হাজারও বছরের ঐতিহ্যের প্রতীক নবান্ন পিঠা উৎসব। এই সংস্কৃতির চর্চায় নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি প্রধান অতিথি’র বক্তৃতায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাঙ্গলী সংস্কৃতিকে উজ্জীবিত করার জন্য সর্বদাই আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এবং আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির উক্ত ধারা আজ উত্তরোত্তর বিকশিত হচ্ছে। সিটি মেয়র গতকাল সকালে খুলনা সরকারি মহিলা কলেজ প্রাঙ্গনে নবান্ন ও পিঠা উৎসবের উদ্বোধন কালে প্রধান অতিথি’র বক্তৃতায় এ সমস্ত কথা বলেন। কলেজ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত উক্ত নবান্ন পিঠা উৎসবের তিনি বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে উক্ত উৎসবের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। সিটি মেয়র এ সময়ে আরোও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের হারিয়ে যাওয়া সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে লালন করার জন্য সর্বপ্রথম প্রচেষ্টা শুরু করেন। কিন্তু ঘাতকের হাতে তার অকাল মৃত্যুতে স্বাধীনতা বিরোধীরা আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতিক ওপর আগ্রাসন শুরু করেছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি পূর্বের ন্যায় নিজস্ব ধারায় ফিরিয়ে আনেন। তিনি বলেন, নবান্নের পিঠা উৎসব আমাদের নিজস্ব সাংস্কৃতির হাজার বছরের বাঙালি জাতির একটি ঐতিহ্য। বাঙালির আবহমান কালের সেই ঐতিহ্য আমাদের জীবনের সাথে এখনো মিশে রয়েছে। খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ টি এম জাকির হোসেন এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম এম কামাল হোসেন ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় উপউপাচর্য প্রফেসর ড. মোসাম্মৎ হোসনে আরা। অন্যান্যের মধ্যে আরোও বক্তব্য রাখেন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. সমীর রঞ্জন সরকার। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির আহবায়ক প্রফেসর আব্দুল জব্বার, কলেজ শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আহমেদুল কবীর, এস এম কামাল হোসেনের সহধর্মীনি নূরানী আক্তার, কেসিসি’র মেয়র প্যানেলের সদস্য মেমরী সুফিয়া রহমান শুনু, কাউন্সিলর মফিজুর রহমান পলাশসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। উদ্বোধন ও আলোচনা শেষে খুলনা সিটি মেয়র কলেজ প্রাঙ্গনে আয়োজিত পিঠার স্টলসমূহ পরিদর্শন করেন।