সন্ত্রাসের পথ ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছে উত্তরাঞ্চলের ৩১৪ চরমপন্থি। জমা দিয়েছে দুই শতাধিক অস্ত্র এবং বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ। তাদের পুনর্বাসনে সহায়তার হাত বাড়িয়েছে এলিট ফোর্স র্যাব। হস্তশিল্প প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন বৃত্তিমূলক ও কারিগরি প্রশিক্ষণের পাশাপাশি আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে সংস্থাটি। এরই অংশ হিসেবে আত্মসমর্পণ করা চরমপন্থিরা ১ লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তা পাবে। আগামী ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জে ওই ৩১৪ জনের কাছে চেক হস্তান্তর করা হবে। র্যাব সূত্রে জানা যায়, গত ২১ মে র্যাবের তত্ত্বাবধানে টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও রাজবাড়ী জেলার ৩১৪ চরমপন্থি সদস্য দুই শতাধিক অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদসহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। তারা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের আর্থিকভাবে সচ্ছল করতে পুনর্বাসনের দায়িত্ব নেয় র্যাব। ‘উদয়ের পথে’ শীর্ষক পাইলট প্রোগ্রামের মাধ্যমে আত্মসমর্পণকারী চরমপন্থিদের স্বাবলম্বী করতে হস্তশিল্প প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন বৃত্তিমূলক ও কারিগরি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। এ ছাড়া আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন র্যাব মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, চরমপন্থিদের পুনর্বাসনে আর্থিক সহযোগিতার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করেন র্যাবের মহাপরিচালক। বিষয়টি সদয় বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রীর ‘ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল’ থেকে ৩ কোটি ১৪ লাখ টাকার অনুদান মঞ্জুর করেন। তিনি আরও বলেন, এ চরমপন্থিদের স্বাভাবিক পেশায় জীবিকা নির্বাহ এবং যারা আত্মসমর্পণ করেনি, তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে উৎসাহিত করতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এ আর্থিক সহায়তা মঞ্জুর করা হয়। আগামী ১২ ডিসেম্বর র্যাব মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন চেক হস্তান্তর করবেন। র্যাব জানায়, আত্মসমর্পণকারী চরমপন্থিদের বিরুদ্ধে করা মামলার মধ্যে খুন, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ ছাড়া বাকি মামলাগুলো আইনানুগ প্রক্রিয়ায় প্রত্যাহার কার্যক্রম চলমান।