সাতক্ষীরা জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস জেলার বিদেশ যেতে আগ্রহী জনগন ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সেবা প্রদানে সক্রিয় ভূমিকা রেখে চলেছে। প্রবাসীদের কল্যাণে বর্তমান সরকারের প্রতিপাদ্য স্লোগান, “থাকব ভালো রাখব ভালো দেশ” বৈধ পথের প্রবাসী আয়ে, গড়ব বাংলাদেশ” এই প্রতিপদ্যকে সামনে রেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বিদেশে গমন ইচ্ছুক কর্মীদের অনলাইনে নাম রেজিষ্ট্রেশন, অনলাইনে ফিঙ্গার প্রিন্ট, বি.এম.ইটির বর্হিগমণ ছাড়পত্র বিদেশে মৃত্যুবরণ কর্মীদের পারিবারিক লাশ বহন ও দাফন খরচ মৃত্যু জনিত আর্থিক অনুদান সহ সার্বিক বিষয়ে দ্রুত সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন বর্তমান সরকার । প্রবাসীদের সেবা প্রদানের লক্ষে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে সাতক্ষীরা জেলায় কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। শুরু থেকেই অদ্যাবধি জেলার প্রায় ২২ লক্ষ মানুষের বিদেশে কর্মসংস্হান সম্পর্কিত তথ্য, সভা সেমিনার করে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। বিদেশ যেতে প্রয়োজনীয় কর্মবিষয়ক সকল সেবা প্রদান করে চলেছে। বৈদেশিক কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে সরকার নির্দেশিত সকল কার্যক্রম বিনামূল্যে প্রদান করছেন।সাতক্ষীরা জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসার, মোস্তফা জামান জানান, আমরা ২০১২ সালের অক্টোবর মাস থেকে ২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত অনলাইনে বিদেশ গমনইচ্ছুক কর্মীদের নারী পুরুষ মিলিয়ে ৫ হাজার ২শত ৫২জনকে সেবা প্রদান করেছি। বিদেশে গমনইচ্ছুক, ৯ হাজার ৮শত ২৯ জন কর্মিদের ফিঙ্গার প্রিন্ট গ্রহণ করেছি। প্রতি মাসে পুরুষ ও মহিলা মিলে ৮ শত ৬৪ জন কর্মী সাতক্ষীরা জেলা হতে প্রতি মাসে বি.এম ইটির বর্হিরাগমন ছাড়পত্র নিয়ে বিদেশ গমন করছে। এছাড়া২০১০-১২ সাল পর্যন্ত বিদেশে মৃত্যুবরণকারী কর্মীদের পরিবারের লাশ পরিবহন খরচ বাবদ প্রত্যেক পরিবারকে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা করে ১০টি পরিবারে প্রায় ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। অক্টোবর ২০২৩ মাসে বিদেশে মৃত্যুজনিত আর্থিক অনুদান প্রাপ্তির জন্য আবেদন/দায়মুক্তি সনদ সহ কাগজ পত্র জমা পড়েছে ০২টি। চলতি মাস পর্যন্ত অত্র অফিসে আর্থিক অনুদান সহ ১৮৭টি চেক পেয়েছি,যার ভেতর ৭৭ টি চেক হস্তান্তর হয়েছে, যার টাকার পরিমাণ প্রায় ০২ কোটি টাকা। বিদেশে মৃত্যুবরণকারী কর্মীর ওয়ারেশদের নিকট হতে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ বকেয়া ও ইনসুরেন্স এর অর্থ প্রাপ্তির জন্য পাওয়ারঅব এ্যাটনী সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাওয়া গিয়েছে ১ টি তাছাড়া বর্তমান মাস পর্যন্ত ৫৮ টি আবেদন জমা হয়েছে। ইতি মধ্যে আবেদনে কৃত দাবিদারের ভিতরে ১৪ টি চেক হস্তান্তর হয়েছে। মাসে প্রাবসী কর্মীর মেধাবী সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তির চেক প্রদান করা হয়েছে ৮০টি যার টাকার পরিমাণ প্রায় ১৪ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা। অক্টোবর ২০২৩ পর্যন্ত বিদেশে নির্যাতিত ক্ষতিগ্রস্থ আটকেপড়া, সাজাপ্রাপ্ত, যুদ্ধবিধ্বস্থ দেশ থেকে সাতক্ষীরা জেলার কর্মীদের ফেরত আনা হয়েছে ২শত ৭০ জনকে। ২০২০ সালের করোনা কালীন সময়ে বিদেশ সাতক্ষীরা জেলার কর্মীদের ফেরত আনা হয়েছে ৪ শত ২৬ জন জনকে। এছাড়া অত্র অফিস থেকে নিরাপদ অভিভাসন ও মানব পাচার প্রতিরোধের লক্ষ্যে সচেনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জেলা উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে বিভিন্ন এনজিওর সাথে সমন্বয় পূর্বক সভা-সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বিদেশগমন ইচ্ছুক কর্মীদের প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ, পুস্তি, লিপলেট ও বুলেটিন সরবরাহ করা হয়েছে ও বিতরণ অব্যহত রয়েছে। অত্র দপ্তর হতে সরকার অনুমোদিত ও বি.এম.ই.টি থেকে লাইসেন্স প্রাপ্ত রিপোর্টিং এজেন্সি থেকে তালিকা সংরক্ষণ করা হয়। বৈধ ভাবে ও নিরাপদে বিদেশ গমনের লক্ষ্যে কর্মীদের উক্ত তালিকা দেখানো হয়। উক্ত তালিকাভুক্তির কারণে যে কোন রিক্রুর্টিং এজেন্সি মালিকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে বৈধ ভিসা সংগ্রহের মাধ্যমে বিদেশ গমন করার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন তিনি।