মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়ন পরিষদ উপনির্বাচনের প্রায় ৪ মাস পরেও ইউনিয়ন জুড়ে দেখা মিলছে নির্বাচনী পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন। নির্বাচন শেষে প্রার্থীরা নিজ নিজ উদ্যোগে সেগুলো অপসারণ করার নির্দেশনা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু সেটি যে পরিপালন হয়নি, তা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ঝুলে থাকা, সেঁটে থাকা পোস্টার বলে দিচ্ছে। নির্বাচনের পর বিশেষ করে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সড়ক, গলিপথ, রাস্তায় রাস্তায় টাঙ্গানো নিজেদের নির্বাচনী পোস্টার-ব্যানার সরিয়ে ফেলতে কর্মীদের নির্দেশনা। বাস্তবে কোথাও এমন দৃশ্য চোখে পড়েনি। মঙ্গলবার কাদিরপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বহু নির্বাচনী পোস্টার ও ব্যানার চোখে পড়েছে। এর মধ্যে শিবচর – কুতুবপুর প্রধান সড়কসহ অন্যান্য এলাকায় পোস্টার-ব্যানারের দেখা মিলেছে। এসব এলাকার বিভিন্ন বৈদ্যুতিক খুঁটিতে পাঁচ-দশটি করে পোস্টার দড়িতে ঝুলতে দেখা গেছে। পোস্টারের সঙ্গে দেখা গেছে পলিথিন। কাদিরপুর ইউনিয়ন জুড়ে পোস্টার ঝুলতে দেখা গেছে। অনেক জায়গায় সড়কের ওপর দিয়ে আড়াআড়ি ঝুলানো পোস্টার দুই পাশ দিয়ে কেটে নেওয়া হলেও পোস্টার রয়ে গেছে সড়কের দুই পাশের বৈদ্যুতিক তার ও খুঁটির সঙ্গে, রয়েছে ব্যানার ও ফেস্টুন। গত ১৭ জুলাই অনুষ্ঠিত হয় কাদিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচন। পরদিন প্রার্থীদের নিজ নিজ পোস্টার সরিয়ে নিতে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা দেওয়ার কথা থাকলেও এখানে বিষয়টা অন্যরকম। শিবচর উপজেলা নির্বাচন অফিসার এস এম এ কাদের বলেন, যে যে প্রার্থী প্রচার করেছেন তাদের নির্বাচনের পরে দুই একদিনের মধ্যে এগুলো সরিয়ে নেওয়ার কথা ছিল তবে এখনো সরিয়ে নেয়নি এ বিষয়ে আমার জানা ছিল না। এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন নির্বাচন কমিশন থেকে চিঠি আসার কথা এবং দিকনির্দেশনা দেওয়ার কথা। এ বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর থেকে আমাদের কোন কাজ নেই প্রার্থীদের শপথ গ্রহণ হতে শুরু করে সব কিছুই দেখবে ইউএনও স্যার। কাদিরপুর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আজাদুল ইসলাম মাসুম বেপারী বলেন ব্যানার পোস্টার এমনিতেই ছিরে পঁচে যাবে এগুলো নামানোর লাগেনা। পিকাপ ড্রাইভার কাউছার মিয়া বলেন, আমি বাসা পাল্টানোর মালামাল নিয়ে যাচ্ছিলাম, তখন আমার এক শ্রমিক রশিতে বেঁধে কিছুটা আহত হয়, যেহেতু নির্বাচন হয়ে গেছে অনেক আগে এখন এগুলো সরিয়ে ফেলা উচিত। সাকিব হোসেন বলেন আমি বাইক চালিয়ে শিবচর উপজেলায় যাচ্ছিলাম এমন সময় মানিকপুর নামক স্থানে, একটি ব্যানারের রশি খুলে পরে অল্পের জন্য আমার বড় কোন ক্ষতি হয়নি। মোঃ আবুল খায়ের খান, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন (ইগটঔ) কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তিনি বলেন বৈদ্যুতিক খুঁটি ও গাছের সঙ্গে পোস্টারের রশি যুক্ত থাকায় অনেক সময় অনেক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে তবে এগুলো সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মনিটরিং করে দ্রুত অপসারণ করা উচিত। শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাজিবুল ইসলাম বলেন যেহেতু জনগণের চলাচলরত রাস্তায় ঝুলে আছে এটা ঝুঁকিপূর্ণ আমরা দ্রুত এটার ব্যবস্থা নিবো। কাদিরপুর ইউনিয়নের উপনির্বাচনের লাগানো ফেস্টুন ব্যানার পোস্টার দ্রুত অপসারণ করা হোক তাই দাবি এলাকাবাসীর।