সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালীনি উপজেলার আবাদচন্ডীপুর গ্রামে কাছারি বাড়ি এলাকায়, এলাকাবাসী জানায় গত কয়েকদিন পূর্বে ঐই গ্রামে মৃত বরকত মোল্যার পুত্র, লিয়াকত মোল্যা, তার দখলীয় জমি থেকে কয়েকটি আমগাছ সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ বিক্রয় করে। ঐ গাছগুলো ক্রয় করে কাঠ ব্যবসায়ী বুরুলিয়া গ্রামের মুজিবর গাজী। তিনি কয়েকজন দিনমজুর নিয়ে উক্ত গাছ কাটার সময় গাছের গোড়ার মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে আসে একটি মাটির হাড়িতে ধাতব মুদ্রা সহ বিভিন্ন অলংাকার। তখন কাঠ ব্যবসায়ী ও কয়েকজন দিন মজুরদের মধ্যে উক্ত সম্পদের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে সামান্য হট্টগোল হলে সেখানে প্রতিবেশী আব্দুল মান্নানের পুত্র রাব্বি সরদার সেখানে হাজির হয়ে তাদের বলে কাকু হাড়িতে ঐগুলো কী? তখন কাঠ ব্যবসায়ী মুজিবর গাজী ও তার লোকজন তার হাতে চারটি মুদ্রা দিয়ে বলে তুমি বাড়িতে চলে যাও। এ বিষয়ে কাওকে কিছু বলো না। সে বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি তার বাবাকে জানালে তৎক্ষনাৎ ঘটনাস্থলে হাজির হয় শিশু রাব্বির পিতা আব্দুল মান্নান সরদার ও তার পিতা-মেছের সরদার ও তার ভাইপো রুহুল সরদার। গাছ ব্যবসায়ী ও দিন মজুরদের বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে মুদ্রার সিংহভাগ হাতিয়ে নিয়ে নেয়। এবং উক্ত বিষয়টি আর কাউকে জানালে তাদেরকে প্রশাসনের হাতে তুলে দেবে বলে হুমকি দেয়। এবং সে উক্ত মুদ্রাগুলো নিয়ে বিভিন্ন ভাবে বিক্রয় ও বিভিন্ন স্থানে পাচার করে। এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানায় আব্দুল মান্নান সরদার এলাকার একজন দুষ্ট প্রকৃতির লোক। সে অন্যায় ভাবে নিজের প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় বিভিন্নরকম অপকর্ম চালায়। সে এলাকার সাধারণ মানুষকে প্রশাসনের ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন রকম হয়রানি করে। এলাকার সচেতন মহল আব্দুল মান্নানের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য ও উক্ত প্রাচীন মুদ্রা ও সম্পদগুলো তার নিকট থেকে উদ্ধার করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা রাখার জন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে আব্দুল মান্নান সরদারের কাছে বিষয়টি জানার জন্য তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।