কুড়িগ্রামের উলিপুরে ইউড্রেন নির্মাণ করা হলেও দুই পাশের সংযোগ সড়ক না থাকায় তা কাজে আসছে না এলাকাবাসীর। এতে বিপাকে পড়েছেন ওই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী তিন গ্রামের প্রায় তিন হাজার মানুষ। এক বছর পেরিয়ে গেলেও এ সমস্যার সমাধান না হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এক বছর আগে উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের পাতিলাপুর এলাকায় লাখ টাকা ব্যয়ে এডিবি’র তহবিল থেকে মমতা ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউড্রেনটি নির্মাণ করেন। কিন্তু দুই পাশের সংযোগ সড়ক না থাকায় ইউড্রেনটি কোন কাজেই আসছে না এলাকাবাসীর। ওই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন পাতিলাপুর, মিয়াপাড়া ও কানিপাড়া গ্রামের প্রায় তিন হাজার মানুষ চলাচল করে থাকে। এছাড়া একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও ওই পথে যাতায়াত করেন। এলাকাবাসী জানান, প্রায় ২ বছর আগে বুড়ি তিস্তা নামক খাল খনন করার সময় ওই রাস্তার পাশে থাকা ব্রিজটি ভেঙে যায়। পরবর্তীতে সেখানে লাখ টাকা ব্যয়ে একটি ইউড্রেন নির্মাণ করা হয়। কিন্তু যেখানে ইউড্রেন নির্মাণের দরকার ছিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেখানে না করে তাদের সুবিধামতো পার্শ্ববর্তী স্থানে ইউড্রেনটি নির্মাণ করেন। এ কারণে সংযোগ সড়ক থেকে তা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। শুকনো মৌসুমেই চলাচল করতে অসুবিধা হয়। আর বর্ষা মৌসুমে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ফলে ইউড্রেনটির সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। এছাড়া ইউড্রেনের দুই পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় প্রায় সময় দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। ওই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী সহস্রাধিক পথচারী পড়েছেন বিপাকে। এ সমস্যার সমাধানের জন্য সোমবার (৬ নভেম্বর) উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। দলদলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী সরকার বলেন, গত অর্থ বছরে এলজিইডির আওতায় এডিবি’র তহবিল থেকে মমতা ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওই ইউড্রেনটি নির্মাণ করেন। ইউনিয়ন পরিষদের সঙ্গে সমন্বয় না করে ঠিকাদারের লোকজন তাদের ইচ্ছামতো কাজটি করেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জানা মতে ইউড্রেনের প্রস্থ তিন ফুট থেকে সাড়ে তিন ফুট করা হয়ে থাকে। কিন্তু ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অনিয়মের মাধ্যমে ইউড্রেনটি দুই ফুট প্রস্থ করেছেন। এছাড়া সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করার কারণে জনগণকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মমতা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মঈনুল ইসলাম পারভেজ জানান, ওই ইউড্রেনটি একটি প্যাকেজ কাজের অংশ। কাজটি গত ২০২২-২৩ অর্থ বছরের। এখনো চূড়ান্ত বিল উত্তোলন করিনি। এস্টিমেটে মাটির কাজ থাকলে তা করে দেওয়া হবে। উপজেলা প্রকৌশলী কে.কে.এম সাদেকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। একটি সড়কের কাজ পরিদর্শনের জন্য অফিসের বাইরে আছি। বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) কাজী মাহমুদুর রহমান অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, উপজেলা প্রকৌশলীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।