পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলা’র চর কাজল, চর বিশ্বাস, চর বাংলা, চর মায়া,দর আগস্তী, দলীর চর, চর প্রশান্ত,বাহের চরসহ নদীতে জেগে উঠা অসংখ্য ডুব চর গুলোতে চলছে ভূমিদস্যু আর গড়ে তোলা হচ্ছে ডাকাতদের অভয় স্থল। অভিযোগ রয়েছে দিপচর গুলোতে বসবাস করা মানুষের পাশাপাশি গবাদিপশু গরু,মহিষ বিচরণ উল্লেখ যোগ্য। এ চর অঞ্চলের মানুষের প্রদান অর্থকারী ফসলের মধ্যে রয়েছে মাছ শিকার ও নানান ধরনের রবিশস্য এবং তরমুজ চাষ। সম্প্রতি সময়ে এ সকল চরে বেড়েই চলছে গরু মহিষ চুরি ও চর জবরদখল। সরেজমিনে গেলে দেখা যায় গলাচিপার চর বিশ্বাস ইউনিয়নে’র দক্ষিণ চর বিশ্বাস এলাকার চর আগস্তিতে অবৈধ ভাবে স্থানীয় জন-পরিচিত নজরুলের চর নামক চরে অবৈধ ভাবে দখল নেয় ডাকসু ভিপি নুরুর খালা রেনু আক্তার বা পারভীন। জমি বন্দবস্ত নেয়া মালিকরা জানান,রেনু আক্তার বা পারভীন বহিরাগত কিছু বাঁজে মেয়ে ছেলে নিয়ে রাতের আধাঁরে দেশিও অস্ত্র’র মুখে দখল নেয় চর আগস্তীর ৪১৩ একর জমি যা কিনা উপকূলীয় বন বিভাগ ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সহায়তায় প্রদান করা হয়ে ছিল বন্ববস্তর মাধ্যমে । চর জবরদখল নিয়ে ধীরে ধীরে গড়ে তুলেছে অবৈধ মাদক ও গরু মহিষের চোরা চালানের নিরাপদ জনপদ। প্রতিনিয়তই ভেকু দ্বারা নদী বড়াট করা হচ্ছে যেনো তার নিজের জমিতে মাটি বড়াট করছেন । সরকারি ভাবে বন্দবস্ত নেয়া উক্ত চরের মালিক মোঃ নজরুল ইসলাম পিতা মৃত রাজ্জাক হাওলাদার জানান,আমি একজন রাজনৈতিক মানুষ,আমি ও আমার আত্মীয় স্বজনসহ সাবেক চেয়ারম্যান হাজী মাতিউর রহমান সাহেবের সময় তাকে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে নিয়ে সরকারী ভাবে ৪১৩ একর জমি বন্দবস্ত আবেদনের মাধ্যমে নেয়া হয় এবং তা দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত আমরা ভোগদখল করে আসছি । গত দেড় বছর পূর্বে আমাদের তৈরীকরা তিনটি কাঁচা টিনের ঘরে এবং ঘরে থাকা কাজের লোক ও স্বজনদের মারধর করে দেশিও অস্ত্র”র মুখে সকলকে চরথেকে বেড়করে দেয় ,যা দ্রুত সময়ে লিখিত ভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ১টি ১৪৪ ধারার অভিযোগ করা হয়েছিল কিন্তু কোন প্রকার বিচার আমি আজও পাইনি । বিতর্কিত এ চরে সম্প্রতি সময়ে স্থানীয়দের গবাদী পুশু পালনে উক্ত চরে ঘাস খাওয়াতে মোটা অংকের টাকা দিয়ে রাখার পরও রাতের আঁধারে চুরি হয় মহিষ । মহিষ চুরির সার্বিকবিষয় খোঁজাখুজি করলে মিলে চাঞ্চল্যকর তথ্য খোদ অবৈধবাবে চর দখলনেয়া সেই ভূমিদস্যূ রেনু আক্তার বা পারভীনের আপন ছোট ভাই শাহিন ও খালাতো ভাই কলাপাড়া উপজেলার রাঙ্গাবালী’র বাসিন্দা হাসন (পেশায় গরু,মহিষ বিক্রি) এসময়ে রেনু পারভীনের চরে বসবাস করা এক নারী নিজেকে চুরি করা মহিষের মালিক হিসেবে জাহির করতে খবর পাওয়া যায়, যাকে হাসান ও শাহিন নিজেদের বোন বলে পরিচয় দিয়ে কালাইয়া স্থানীয় বাজারে মহিষ দুটি বিক্রয় করেন। সুত্র মতে দেখা যায়,পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার চরাঞ্চল চর বিশ্বাস ইউনিয়নের তেতুলিয়া নদীর তীরে ১৯৪৫ সালের দিকে গড়ে উঠেছে তেমনি একটি চর যার নাম চর ওহাব। বাংলাদেশ সার্ভে (বিএস) ক্ষতিয়ান অনুসারে ২৭০ থেকে ২৮০ একরের এই চরটি ১৯৫৯-৬০ সালে তৎকালীন বাকেরগঞ্জ জেলার ভূমিহীনদের মধ্যে তখন ৩ একর করে বন্দোবস্ত দেয়া হয় । পরে ১৯৬৯ সালে পটুয়াখালীকে যখন জেলা ঘোষনা করা হয় তখন এই চরটি পটুয়াখালী জেলার অর্ন্তভূক্ত হয়। এরপর আবারো বিভিন্ন দাগে ১৯৭৭-৭৮ সালে আড়াই ও ১৯৯৭-৯৮ সালে দেড় একড় করে বিভিন্ন ভূমিহীনদের মধ্যে সরকার থেকে বন্দোবস্ত দেয়া হয়। এ চরটি পটুয়াখালী জেলা ও ভোলা জেলার মধ্য সীমানায় হওয়ার কারনে এই চরটি নিয়ে এই পটুয়াখালী জেলার চর বিশ্বাস ও চর কাজল ইউনিয়নের সাথে ভোলা জেলার মুজিবনগর ইউনিয়নের মানুষদের মধ্যে চরটির মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ চলে আসছিলো প্রায় পঞ্চাশ একান্ন বছর ধরে । দুই জেলার মামলা হয়েছে একাধিক এবং মামলায় আসামি হয়ে জেল খেটেছে অনেকে নিরীহ কৃষক, হামলা হয়েছে বহুবার। এ চর তাদের এবং এই সম্পদ রক্ষা করতে গিয়ে দুই জেলার কৃষকদের দ্বন্দে প্রান দিতে হয়েছিল চর বিশ্বাসের কাশেম মৃধা (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে যার ছিলোনা ওই চরে একহাত জমি। তবে ২০২২ সালে দুই জেলার জনপ্রতিনিধি ও জেলা প্রশাসনের অনেক চেষ্টায় দীর্ঘদিনের এ সমস্যার সমাধানের মধ্য দিয়ে শান্তি চুক্তি করায় চাষ উপযোগী উর্বর এই চরটি থেকে সরে দাড়ায় ভোলা জেলার মুজিবনগর ইউনিয়নের মানুষ। চরটির মধ্যে সিমেন্টের পিলার বসিয়ে নির্ধারন করা হয় দুই জেলার দুই উপজেলার সীমানা এবং এখনো এই চরে বসতঘর তৈরি করে বসবাস করছেন শত-শত ভোলা জেলার নাগরিক এবং সেই জমি বিক্রি করেছিলেন ভোলা জেলার এবং পটুয়াখালী জেলার অনেকেই । বর্তমান সময়ে চর বিশ্বাসে আবার দেখা যাচ্ছে নানান প্রকার মামলা ও হামলা । উক্ত আলাচেতি রেনু পারভীন আতংকে বর্তমানে জেলার গোটা চরঅঞ্চল । একাদিকবার বিভিন্ন প্রকার অভিযোগে গলাচিপা স্থানীয় প্রশাসন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পুলিশ সরজমিনে গেলেও নানান ধরনের বাঁধার মুখে ফিরে আসতে হয়েছে এবং কি স্থানীয় ফাঁড়ীর পুলিশ জবরদখল কৃত চরে অভিযোগ সূত্রে খোঁজখবর নিতে গেলে বহীরাগত নারীদের হাতে থাকা অস্ত্রের মুখে পরলে ফিরে আসতেও হয়েছে । জমি জবরদখলের তান্ডবের পরিধি জেনো দিনে দিনে বাড়ছে ভূমিদস্যুদের, আসছে তরমুজ মৌসুমকে কেন্দ্র করে রেনু আক্তার বা পারভীন শুরু করছেন নতুন মহাযোগ্য, সুত্রমতে দেখা যাচ্ছে চরবিশ্বাস নিয়ে সম্প্রতি সময়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয় নানান অভিযোগ। অভিযোগে তরমুজ চাষীরা জানান, গত ২০০৪ সন থেকে পঞ্চাশ জন স্থানীয় বাসিন্ধারা রবিশষ্য ও প্রধান অর্থকারী ফসল তরমুজ চাষের সরকারী ভবে ভোগদখল নিয়ে পরিবার পরিজন সন্তানদের নিয়ে ভালোভাবে বসবাস করে আসছিল হঠাৎ করে তহশিলদার সহযোগিতায় কিছু নতুন নাম যেমন ,হাওলাদার, রনি ডাক, অলিল হাওলাদার ( ভিপি নুর এর চাচাত ভাই) যে কিনা আলোচিত রেনু আক্তারের খালা। বর্তমানে রেনু আক্তারের ভয়ে আতংকে নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক একাধিক কৃষক,চাষী,দিনমজুরসহ সকলস্তেরর মানুষ দাবীকরছেন ভূমিদস্যু রেনু আক্তার তার স্বামী জাকির তহশিলদারকে সামনে রেখে আমাদের অবৈধভাবে কোন প্রকার নোটিশ বা কাগজপত্র ছাড়াই আমাদের বন্দবস্ত জমি রেনু আক্তার ও ডাকসু ভিপি নুরুর আত্মীয় স্বজনদের নামে দিতে সরকারী বড় অফিসারদের কান বাড়ী করছেন তহশীলদার সাহেব । তরমুজ মৌসুমে ভূমিদস্যু”র আগ্রাসনের হাত থেকে চর ও স্থানীয় সাধারণ জনগনকে রক্ষায় সরকার বাহাদুরকে দ্রুত যুগোপযোগী পদক্ষেপ নেয়ার আকুতি জানান । সাধারন মানুষ মনে করছেন চরের শান্ত পরিবেশের আইনশৃঙ্খলায় দেখা দিতে পারে অবনতি এমন আশঙ্কা ও দুশ্চিতায় নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন চরের প্রায় কয়েকহাজার মানুষ।