কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম ও রংপুরের মিঠাপুকুরে সড়ক দুর্ঘটনায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাতে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর।
চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা): ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই যুবদল নেতার মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার চান্দশ্রী এলাকার তাজমহল হোটেলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন (৪০) ও যুগ্ম-আহ্বায়ক ইরফানুল হক মানিক (৪৫)। মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম লোকমান হোসাইন জানান, সোমবার রাতে কুমিল্লা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী যমুনা পরিবহনের একটি বাস বেপরোয়া গতিতে এসে মহাসড়কের হোটেল তাজমহলের সামনে মোটরসাইকেলের পিছনে ধাক্কা দেয়। এতে চালক দেলোয়ার ও অপর আরোহী মানিক গুরুতর আহত হন। স্থানীরা গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে মিয়াবাজার হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও মোটরসাইকেলটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়। দুর্ঘটনার পর বাসচালক ও হেলপার পলাতক রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে হাসপাতাল থেকে পরিবারের সদস্যরা তাদের লাশ নিয়েছে বলেও তিনি জানান।
মিঠাপুকুর (রংপুর): মিঠাপুকুরে মহাসড়ক পার হওয়ার সময় ট্রাকচাপায় এক ঠিকাদারের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ঐ ঠিকাদারের নাম মঞ্জুরুল ইসলাম (২৮)। তিনি উপজেলার লতিবপুর ইউনিয়নের বাতাসন লতিবপুর গ্রামের জয়নাল মিয়ার ছেলে। রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের জায়গীর বাসস্ট্যান্ড এলাকার নিশ্চিন্তপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের গেটসংলগ্ন এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নির্মাণাধীন রংপুর-ঢাকা ফোর লেন মহাসড়কের সাব-ঠিকাদার হিসেবে কাজ করতেন মঞ্জুরুল ইসলাম। নির্মাণশ্রমিক সরবরাহের ঠিকাদার হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন তিনি। প্রতিদিনের মতো কাজ শেষ করে সোমবার রাত ৮টার দিকে বাসায় ফিরছিলেন মঞ্জুরুল। মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে মহাসড়ক পার হওয়ার সময় রংপুর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী একটি মালবাহী ট্রাক তাকে চাপা দেয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বড়দরগাঁ হাইওয়ে থানার ওসি সোলায়মান শেখ দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জায়গীর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি।