ফরিদপুরের সালথায় ককটেল বিস্ফোরণ ও পুলিশের ওপর হামলার মামলায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের সাথে আসামী করা হয়েছে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে। এ ঘটনায় উপজেলার আওয়ামী লীগের ওই নেতা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। ওই আওয়ামী লীগ নেতার নাম শাহীদুজ্জামান শাহিদ (৪৫)। তিনি উপজেলার মাঝারদিয়া গ্রামের মো. তোফাজ্জেল এর ছেলে। শহীদুজ্জামান মাঝারদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। সালথা থানা পুলিশের ভাষ্য মতে গত শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা সদরের বাইপাস সড়কের চৌরাস্তার মোড়ে বিএনপির ডাকা হরতালের সমর্থনে মিছিল থেকে ককটেল বিস্ফোরণ ব্যানারে অগ্নি সংযোগ করার ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে বিক্ষোভকারীরা তাদের দিকে ইট ছোড়ে। এ ঘটনায় সালথা থানা পুলিশের ছয় সদস্য আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শর্টগানের ১১টি ফাঁকা গুলি ছুড়ে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে আটক করা বিএনপির দুই নেতাকর্মীকে। উদ্ধার করা হয়েছে দেশীয় অস্ত্র। এ ঘটনায় গত রবিবার সকালে সালথা থানায় ১৮জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও অনেককে আসামি করে পুলিশের উপর হামলা, অগ্নি সংযোগ ও বিস্ফোরক আইনে একটি মামলাদায়ের করা হয়। সালথা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পরিমল কুমার বিশ^াস বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলার ১২ নম্বর আসামি করা হয়েছে সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহীদুজ্জামান শাহিদকে। এ মামলার এজাহারভুক্ত ১৮ আসামির মধ্যে ১৭জনই উপজেলা বিএনপির নেতা ও কর্মী। এর মধ্যে রয়েছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান (৫০), সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী এমদাদ আলী (৪৮), সোনাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি রেজাউল শেখ (৩৫), বিএনপি কর্মী সোহেল শেখ (২৮) প্রমুখ। আসামীদের মধ্যে একমাত্র ব্যাতিক্রম হচ্ছেন সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপপতি শাহীদুজ্জামান। উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহীদুজ্জামান গত মঙ্গলবার দুপুরে বলেন, কি আর করবো। এ ঘটনায় আমার কি বলার থাকে। আসামি হিসেবে আমি আমার নাম দেখে বিস্মিত হয়েছি। এ বিষয়ে আমি এসআই পরিমল কুমার বিশ^াসকে ফোন করেছিলাম। তিনি (পরিমল) জানিয়েছেন ‘ভুল’ হয়ে গেছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, মামলার এ তালিকায় শহীদুজ্জামান এর নাম কিভাবে এলো তা থানা কর্তৃপক্ষই ভালোভাবে জানেন। এর বাইরের আমার কিছু বলার নেই। সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সাদিক বলেন, শনিবার রাতে ঘটনাস্থল থেকে আমরা দুইজনকে আটক করি। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে যারা এ ঘটনায় জড়িত ছিলেন তাদের নাম সংগ্রহ করে এ মামলাটি করা হয়েছে। তবে মামলাটি তদন্তকালে যদি প্রমানিত হয় গ্রেপ্তার হওয়া ওই দুই ব্যাক্তি ভুল নাম দিয়েছেন তাহলে সে ব্যাপারে পরবর্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।