ষড়ঋতুর বাংলাদেশে মুগ্ধপ্রাণ প্রকৃতি কেবলই আবেশ ছড়িয়ে দেয়। এর কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। আনন্দযজ্ঞের এই লীলানিকেতন বাংলাদেশে একের পর এক ঋতুর আগমন ঘটে। এর মধ্যে শরতের রূপ অন্য যে কোনো ঋতু থেকে ভিন্ন। প্রকৃতিপ্রাণতা জীবনের অপরিহার্য অনুষঙ্গ ষড়ঋতুর বাংলাদেশে মুগ্ধপ্রাণ প্রকৃতি কেবলই আবেশ ছড়িয়ে দেয়। এর কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। আনন্দযজ্ঞের এই লীলানিকেতন বাংলাদেশে একের পর এক ঋতুর আগমন ঘটে। এর মধ্যে শরতের রূপ অন্য যে কোনো ঋতু থেকে ভিন্ন। প্রকৃতিপ্রাণতা জীবনের অপরিহার্য অনুষঙ্গ। ঋতুবৈচিত্র্যের বহুবর্ণিল আবহে সমা”ছম্ন হয়ে আছে আমাদের প্রকৃতি। ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার টগরবন্দ ইউনিয়নের টিটা গ্রামে মধুমতি নদীর পাড়ে চরাঞ্চলের প্রায় ৪০০ একর জমির বদ্বীপে মিলবে কাশফুলের মেলা। এছাড়াও উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কাতলাসুর গ্রামের চরাঞ্চলেও রয়েছে কাশফুলের মেলা। শরতের আকাশের বর্ণিল আলোয় কাশফুলগুলো ঢেউ খেলে যা”িছল। শরৎ প্রকৃতির মধ্যে একটা নতুন আবেগের সৃষ্টি করে। রৌদ্র আঁধারির খেলায় যে কারও মন বিলীন হয়ে যেতে চায় প্রকৃতির সঙ্গে। এই স্বভাবপ্রকৃতির সঙ্গে যেন বাঙালি চরিত্র অল্পিবষ্ট হয়ে আছে। শরতের অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাকে বিমোহিত করবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। টিটার চরাঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাকে নিয়ে যাবে শুভ্রতায় পরিপূর্ণ কোমল এক রাজ্যে। শরৎকালে উপভোগ করে আসুন কাশফুলের কোমল পরশ আর সাদা নরম মেঘের ফাঁক গলে বেরিয়ে আসা সোনাঝরা রোদ। পশ্চিমে হেলে পড়া সেই সূর্যের কিরণ যখন কাশফুলের ওপর পড়ে তখন অদ্ভুত এক আভা প্রকৃতিতে ছড়িয়ে পড়ে। যা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে উপভোগ করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। যত দূরে চোখ যায়, দৃষ্টিজুড়ে শুধু কাশবন আর কাশবন। বিস্তীর্ণ এলাকা যেন শুভ্রতার চাদরে মোড়া এক অপরূপ সৌন্দর্যের রাজ্য। কাশফুল শোভন শুভ্র ফুল। চোখে পড়লেই আমরা বুঝে নিতে পারি আবহমান বাংলায় এখন শরৎকাল। বিস্তীর্ণ নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা আর কসফুলের সমারোহ শরৎ প্রকৃতির এক নান্দনিক রূপ। কাশফুল প্রাণবন্ত ঋতু শরৎকালীন ফুল। ধবল কাশফুল শোভন সুন্দর বলে সবুজ প্রাণ আর মেঘের আকাশ মিলে মূর্ত প্রকৃতি নয়নাভিরাম হয়ে ওঠে। কাশফুল আবহমান বাংলার চিরায়ত শরতের সুনন্দ ষ্টিম্নগ্ধ ফুল। সাদা লোমের মতো শুভ্রতা নিয়ে ফোটে কাশফুল। এর মঞ্জরি ১৫ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার লম্বা হয়। গুচ্ছমূল জাতের কাশ ঘাস-জাতীয় উদ্ভিদ। এর পাতা কিছুটা সরু রুক্ষতায় সরু সোজা রেখার মতো। উচ্চতা তিন থেকে সাড়ে তিন মিটার পর্যন্ত হয়। কাশ নদীতীর, জলাভূমি, আবার কখনও উঁচু পতিত জমিতে গোছায় গোছায় জন্মে। এ বদ্বীপের বাসিন্দা মুসা মিয়া জানান, সাবেক মধুমতি নদী বর্তমান বাঁওড়ে পাড় ঘেসে কয়েক শতক একর জমিতে প্রতি বছর কাশফুল ফোটে। এই কাশফুল দেখতে অনেক লোকের আগমণ ঘটে। নৌকার অভাবে অনেকেই কাশ ফুল গাছেরকাছে জেতে পারে না। স্থানীয় ভাবে আমাদের কয়েক জনের ছোট ছোট নৌকা রয়েছে। কেউ কাশফুল দেখতে যেতে এখানে স্বল্প টাকায় নৌকা ভাড়া পাওয়া যায়। ৮ বছরের শিশু রাফসান বিন ইকবাল ভোর বেলা বাবার সাথে এসেছেন কাশফুল দেখতে শিশুটি জানিয়েছে এই স্থানের কাশফুলের কথা তার সহপাঠিদের মুখে সুনেছি। তাই বাবাকে বায়না ধরেছিলাম কাশফুল দেখাতে। সকাল ৯ টায় ক্লাস তাই ভোরে এসে কাশফুল দেখে ফিরে যাচ্ছি বাবার সাথে।