নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার সাব রেজিষ্ট্রী অফিসের দলিল লেখক (সনদ নং-৬৫) নুরুল আমিনের অনিয়ম, দুর্নীতি ও অবৈদ উপায়ে সম্পদ অর্জনের তদন্ত অদৃশ্য কারণে ¯’বির হয়ে পড়েছে। একজন নারী অফিস সহকারীর সমন্বয়ে সিন্ডিকেট গড়ে তুলে নুরুল আমিন দীর্ঘদিন ধরে বেআইনিভাবে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে নির্ধারিত গড় মূল্যের চেয়ে অনেক কম মূল্য দেখিয়ে জমি রেজিষ্ট্রী করে, একদিকে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি অপর দিকে নিজে অর্থের পাহাড় গড়ে তুলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দলিল লেখক সমিতির নামে চাঁদাবাজির অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন নিজেকে যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে সাব রেজিষ্ট্রী অফিসে চরম অনিয়ম, দুর্নীতি ও বিভিন্ন অপকর্ম করছে বীর দর্পে। ফলে তার বিরুদ্ধে দূর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ দাখিল করা হয়। এর প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহাপরিদর্শক নিবন্ধন অধিদপ্তরকে নির্দেশ প্রদান করা হয়। মহাপরিদর্শক নিবন্ধন অধিদপ্তর নারায়নগঞ্জ জেলা রেজিষ্ট্রারকে অভিযোগ তদন্ত করার নির্দেশ দেন। নারায়নগঞ্জ জেলা রেজিষ্ট্রার ফতুল্লা সাব-রেজিষ্ট্রার মো. সাজ্জাদুল কবিরকে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত করেন। তদন্ত শুরু হওয়ার পর অভিযুক্তরা নিজেদের রক্ষা করতে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে যে রাজস্ব কম দিয়েছিলেন, তা সোনালী ব্যাংকে পে ওর্ডার এর মাধ্যমে পরিশোধ করে, পরিশোধিত পে অর্ডার এর রশিদ তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে জমা দেন। অভিযোগে উল্লেখিত দলিলের রাজস্ব ফাঁকির দায় এড়াতে অভিযুক্তরা এমন চতুরতা অবলম্বন করলেও গত দুই মাস চলে গেলেও অন্যান্য অপকর্মের বিষয়ে অদৃশ্য কারণে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছেনা। এতে নরুল আমিন ও অফিস সহকারী নাসিমা আক্তার সিন্ডিকেড তাদের অপকর্ম অব্যাহত রেখেছেন। সাধারণ মানুষসহ অনেক দলিল লেখকরাও এ সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আড়াইহাজার সাব রেজিষ্ট্রী অফিসে সম্পাদিত ১৪১৬৩ নং সাব কবলা দলিলে কদমিচর মৌজায় ৯৮ শতাংশ নালজমিকে ডোবা শ্রেণি দেখিয়ে ১৯ লাখ ৬০ হাজার টাকার পরিবর্তে ৪ লাখ টাকা মূল্য দিয়ে ১৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা কম ও নাগেরচর মৌজায় ৭৮০৩ নং দলিলে ১৫ শতাংশ নাল জমি ৩২ লাখ ২৬ হাজার ৫০০ টাকার পরিবর্তে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্য দিয়ে ২৯ লাখ ৭৬ হাজার ৫০০ টাকা কমিয়েছে। এতে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব বঞ্চিত হয়। এ ধরণের অনিয়ম দুর্নীতিতে জড়িত রয়েছেন, সাব রেজিষ্টার অফিস সহকারী নাসিমা আক্তার, তার ছেলে তারেক ও ওমেদার হাফেজ এবং সাজ্জাদ পারভেজ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোক্ত সিন্টিকেট প্রধান নুরুল আমিন কথা বলতে অনিহা প্রকাশ করেন। অফিস সহাকারী নাসিমা আক্তার বলেন,আমার পিছনে লেগে থাকা একটি মহল এসব মিথ্যা অভিযোগ করছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা সাজ্জাদ কবির বলেন, তদন্ত শেষ হয়েছে। প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে। দ্রুত দাখিল করা হবে।