ঈদে মিলাদুন্নবী সহ সরকারী তিন দিনের ছুটি দ্বিতীয় দিনে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমমুদ্র সৈকতে হাজারো পর্যটকদের ঢল নেমেছে। গত বুধবার বিকাল থেকে কুয়াকাটায় এ সকল পর্যটকের আগমন ঘটে। আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে আনন্দ উন্মাদনায় মেতেছেন। অনেকে আবার সমুদ্রের নোনা জলে গাঁ ভাসাচ্ছেন। কেউবা আবার প্রিয়জনদের সঙ্গে তুলছেন সেলফি। কেউবা আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে উপভোত করছেন সাগরের মোজনীয় গর্জন। মোটকথা সৈকতে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। বাড়তি পর্যটকদের ভীড়ে বিক্রি বেড়েছ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। বুকিয় রয়েছে অধিকাংশ হোটেল মোটেল। আগতদের সার্বিক নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিষ্ট পুলিশ। যশোর থেকে আসা পর্যটক হাসান মাহমুদ জানান, এ মেলাকে কেন্দ্র করে অনেক পর্যটক বেড়েছে। আমি এর আগেও কুয়াকাটায় এসেছি। তবে আমি এত পর্যটক এর আগে কুয়াকাটায় দেখিনি। তবে যোগাযোগ ব্যবস্তাটা ভাল করা অতিব জরুরী। মুন্সিগঞ্জ থেকে আসা পর্যটক রুমানা আক্তার জানান,কুয়াকাটা বেড়াতে এসে খুব ভালো লেগেছে। এখানকার সমুদ্র সৈকত ও অপরূপ সুন্দর এখানকার প্রকৃতির সৌন্দর্য আমাকে মুগ্ধ করেছে। কুয়াকাটার সৌন্দর্য দেখতে মন চায় বারবার আসি। হোটেল মোটেল অউনার এসোসিয়েশন সাধারণত সম্পাদক মোঃ মোতালেব শরীফ জানান, একদিকে তিন দিনের ছুটি আরেক দিকে মেলা একে কেন্দ্র করে বিগত দিনের চেয়ে অনেক পর্যটক বেড়েছে। আজকেও অনেক পর্যটক আসছে। কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও কানসাই হোটেলের স্বত্বাধিকারী নাসির উদ্দীন বিপ্লব বলেন আমার হোটেলে কক্ষ শতভাগ বুক হয়ে গেছে। কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ জোনের ওসি হাসনাইন পারভেজ বলেন, সরকারি ছুটির তিন দিনের দ্বিতীয় দিনে আজও ব্যাপক পর্যটকের আগমন ঘটেছে । তাদের নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, আমরা পৌরসভা, উপজেলা প্রশাসন ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা মিলে পর্যটকদের বিনোদনের জন্য মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় হাজারো পর্যটকের আগমন ঘটেছে। আমার মনে শুক্রবার লক্ষাধীক পর্যটকের আগমন ঘটবে। এখনই বেশীরভাগ হোটেলে- মোটেলে রুম নেই। আমরা পর্যটকের সেবায় নিয়োজিত আছি।