সাতক্ষীরার সদরের ধুলিহর ইউনিয়নের দৌলতপুরে সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূত ভাবে ভূগর্ভস্থ থেকে বালু উত্তলনের সংবাদ প্রকাশের জেরে সাতক্ষীরা জেলা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সদস্য এবং ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক নবচেতনা ও দি ডেইলি ট্রাইবুনাল পত্রিকার সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি শেখ হাসান গফুর কে জীবননাশের হুমকিসহ স্থানীয় পর্যায়ের কর্মরত সকল সাংবাদিক দেরকে দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদান করেছে। ধুলিহর ইউনিয়নের মাটিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত্যু জিউফার রহমানের পুত্র আইয়ুব আলী ও তার সহযোগী সদরের দেবনগর গ্রামের মৃত্যু আকবর আলীর পুত্র ড্রেজার মেশিন মালিক বালু খাদক আবু সাঈদ। এই ঘটনায় গত মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সাতক্ষীরা সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর নিরাপত্তা চেয়ে এবং বিচার নিশ্চিতে সাধারণ ডায়েরি করেন ভুক্তভোগী।লিখিত অভিযোগে বলা হয়, গত ১১ ই সেপ্টেম্বর সদরের দৌলতপুর গ্রামের সরকারি কমিউনিটি ক্লিনিকের ৩০ ফুটের মধ্যে পেশিশক্তির প্রভাব খাটিয়ে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে ভূগর্ভস্থ থেকে বালু উত্তলনের সংবাদ সংগ্রহ কালে আইয়ুব আলী ও ড্রেজার মেশিন মালিক আবু সাঈদ সাংবাদিকদের উপর চড়াও হয়। বিষয় টা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে অবগত করলে ধুলিহর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ড্রেজার মেশিন টি জব্দ করেন। পরবর্তীতে জাতীয়, স্থানীয় ও অনলাইন পোর্টালে “মাটিয়াডাঙ্গায় অবৈধভাবে বালি উত্তলন মেশিন জব্দ” সংবাদ টি প্রকাশিত হয়। উল্লেখ্য, ২৬ শে সেপ্টেম্বর দুপুর আনুমানিক দুইটার সময় সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের গেট সংলগ্ন রাস্তায় শেখ হাসান গফুর কে উপস্থিত স্বাক্ষী সাইফুল আজম খান মামুন, লালটু,মোঃ মুজাহিদ এদের সম্মুখে জীবননাশের হুমকি প্রদান করে ও সাংবাদিকদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। এছাড়াও তারা বলে, ‘প্রশাসনেও তাদের হাত আছে। অনিয়ম করে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে এযাবতকাল যেভাবে ব্যাবসা চালিয়ে এসেছি আগামীতে একইভাবে চলবে। তোকেও দেখে নেব।’ এমতাবস্থায় জীবনের নিরাপত্তাসহ ও উক্ত বালু খাদকদের শাস্তি দাবি করছি। অভিযোগ বিষয়ে সাংবাদিক শেখ হাসান গফুর বলেন, অবৈধভাবে বালি উত্তলনের বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করি। এর প্রেক্ষিতে তারা সরাসরি ভয়ভীতি দেখানোসহ সাংবাদিকদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। এমনকি তাদের প্রশাসনে লোক আছে, কোন অভিযোগে কাজ হবে না বলেও হুমকি দেয়। এছাড়াও অভিযোগ প্রদানের পরের দিন তারা পরিকল্পিতভাবে মিথ্যাচারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ঘটনায় উপযুক্ত তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনকে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।’ এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী সাংবাদিক গত ২৬ সেপ্টেম্বর সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছে। জি,ডি নং-১৫২৩ তাং-২৬/০৯/২৩।