এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিল ফরিদপুর পৌরসভা। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে শহরের অম্বিকা মেমোরিয়াল হলে এ অনুষ্ঠানের আযোজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে ফরিদপুর পৌরসভার ১৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জিপিএ ৫ পাওয়া ৫০১ জন শিক্ষার্থীর হাতে প্রত্যেকের নাম লেখা ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়। এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, তোমরা জীবনের পরীক্ষার প্রথম ধাপ অতিক্রম করলে। আরও অনেক পথ এগিয়ে যেতে হবে। শুধু ভালো শিক্ষার্থী হলেই চলবে না, তোমাদের মানবিক মানুষ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান বলেন, মেধাহীন জাতি মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে না। যে বত মেধাবী নিজ নিজ কাজে সে তত দক্ষ। এই দক্ষতা তোমাদের অর্জন করতে হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক বলেন, এ দেশের নেতৃত্ব আগামীতে তোমাদের দিতে হবে। এখন থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে সুনাগরিক ও যোগ্য নেতা হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে। সভাপতির বক্তব্যে ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস বলেন, ফরিদপুর পৌরসভা ১৮৬৯ সালে স্থাপিত হয়েছে। গত ১৫৪ বছরের ইতিহাসে পৌর সভার উদ্যোগে তার মেধাবী সন্তানদের এ ভাবে সংবর্ধনা দেওয়ার ঘটনা এই প্রথম। আমরা প্রতি বছর এ ধারা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করবো। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বিষ্ণুপদ ঘোষাল, ফরিদপুর জেলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক আফরুজা বানু, ফরিদপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসিমা বেগম, ফরিদপুর আদর্শ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়নুল আবেদীন, এ উপলক্ষে গঠিত সংবর্ধনা উদযাপন কমিটির সদনস্য অধ্যাপক মো. সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ। ওই অনুষ্ঠানে চার মেধাবী শিক্ষার্থী তাদের অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন। এদের একজন হালিমা গালর্স এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী তাজমী আক্তারী সুলতানা। অদম্য এই মেধাবী জানায়, নিজের ইচ্ছে শক্তি থাকলে যে কোন কাজে সফল হওয়া যায়। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হিসেবে সে টিউশনি করে তার পড়াশোনা চালিয়ে জিপিএ ৫ পেয়েছে। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে এ অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।