চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার জঙ্গল সলিমপুরে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ অভিযানের শেষে ফেরার পথে প্রশাসনের উপর হামলা চালিয়েছে অবৈধ দখলদাররা।এতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।এঘটনায় নারীসহ চারজন হামলাকারী আটক করা হয়েছে। জানা যায়, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে গত বছর দখলদারদের উচ্ছেদ করে সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরে সরকারি খাস দশ একর জমি উদ্ধার করে হাসপাতালের জন্য নির্ধারণ করা হয়। সে সময় প্রশাসন কর্তৃক সাইনবোর্ড ও লাল পতাকা টানিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। কিন্তু তার কিছুদিন পর থেকে দখলদাররা পুনরায় উদ্ধারকৃত জমি দখল করে নেয়। পূর্বে উদ্ধারকৃত জমি আজ পুনরুদ্ধার করতে প্রশাসন আবারও অভিযান চালায়। সকাল ৯টা থেকে চলমান অভিযানে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রশাসন, র্যাব, এপিবিএন, পুলিশ ও আনসারের ২৫০ সদস্য অংশ নেয়। অভিযানের শেষ পর্যায়ে বিকেলে চারটার দিকে হঠাৎ কয়েকশত নারী পুরুষ পাহাড়ের চূড়ায় উঠে প্রশাসনের উপর অতর্কিতভাবে বৃষ্টির মত পাথর ছুঁড়তে থাকে। এতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বলেন, অভিযান শেষ করে ফেরার পথে হঠাৎ কয়েকশো নারী পুরুষ পাহাড়ের চূড়ায় উঠে অতর্কিতভাবে পাথর নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও আমি সহ বেশ কয়েকজন আহত হই। অতর্কিত ছোড়া পাথর আমাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে এসে পড়ে। আহতরা ভাটিয়ারীর বিএসবিএ হাসপাতাল ও সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে।এই ঘটনায় নারীসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর আল নাসিফ বলেন,চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে গত বছর দখলদারদের উচ্ছেদ করে সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরে সরকারি খাস দশ একর জমি উদ্ধার করা হয়। কিছুদিন পর অবৈধ দখলদাররা আবার উদ্ধার করা জমি দখলে নেয়। সেই জমি পুনরুদ্ধার করতে জেলা প্রশাসন আবারও অভিযান চালায়। অভিযানে প্রায়ই ১২০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। তবে অভিযান শেষ পর্যায়ে গিয়ে দখলদাররা হামলা চালায়। এতে করে ইউএনও, ওসি সহ ১০ জন আহত হয়।