দুই দিনের সফর শেষে ঢাকা ছেড়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। সোমবার দুপুর ২টা ৪৮ মিনেটে একটি বিশেষ ফ্লাইটে প্যারিসের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।
বিমানবন্দরে ফরাসি প্রেসিডেন্টকে বিদায় জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
গতকাল রোববার রাতে দিল্লি থেকে ঢাকায় আসেন ইমানুয়েল মাখোঁ। বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় ফরাসি প্রেসিডেন্টকে লাল গালিচা সংবর্ধনা এবং গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
ঢাকা ও প্যারিসের মধ্যে দুটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। আজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর উপস্থিতিতে এই সমঝোতা স্মারক সই হয়।
অবকাঠামো, স্যাটেলাইটসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে এ সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। সমঝোতা স্মারক দুটি হলো—
১. বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এবং ফ্রান্সের ফ্রান্স ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির (এফডিএ) মধ্যে ‘ইমপ্রুভিং আরবান গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রোগ্রাম’ বিষয়ে একটি ক্রেডিট-সুবিধা চুক্তি।
২. বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) এবং ফ্রান্সের এয়ারবাস ডিফেন্স অ্যান্ড স্পেস এসএএসের মধ্যে বঙ্গবন্ধু-২ আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম-সম্পর্কিত সহযোগিতার বিষয়ে লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই)।
এর আগে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। এরপর দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র অন্বেষণে আলোচনা করেন তারা।
এদিন সকালে ঢাকা সফরের দ্বিতীয় দিনে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ।
ইমানুয়েল মাখোঁ সকালে সেখানে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা ও তার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি।
৩৩ বছর পর ফ্রান্সের কোনো প্রেসিডেন্ট ঢাকা সফরে আসেন। এর আগে ১৯৯০ সালে ফ্রান্সের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া মিতেরা ঢাকা সফর করেছিলেন।