গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে গড়ে উঠেছে আল ফুয়াদ ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামক বেসরকারি ত্রকটি হাসপাতাল। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ১০০ গজ দক্ষিণে আরাফাত ভবনের নিচতলায় অবস্থিত এই প্রতিষ্ঠানটি। অত্র প্রতিষ্ঠানে বিরুদ্ধে আছে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ। জানা যায় বিভিন্ন সময় দেয়া হয়ে এখান থেকে ভুল আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট। গত ২০/২/২০২৩ ইং তারিখে আফসানা (২১) নামক একজন গর্ভবতী মহিলা জানতে চাই তার গর্ভের বাচ্চার অবস্থান তিনি সঠিক তথ্য জানার জন্য উক্ত হাসপাতাল থেকে আল্ট্রাসনোগ্রাম করেন। রিপোর্টে দেখা যায় তার গর্ভে দুটি জমজ বাচ্চা রয়েছে। এই তথ্যটি নিশ্চিত করে আল ফুয়াদ ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার। পরবর্তীতে আবার মাওনা পপুলার মেডিকেল হাসপাতাল ১৩/৫/২০২৩ ইং তারিখে একই মহিলার একই পরীক্ষা করানো হয় কিন্তু এবার আসে ভিন্ন রিপোর্ট এই রিপোর্টে দেখা যায় ভুক্তভোগী আফসানার গর্ভে একটি সন্তান। এঘটনায় আল ফুয়াদ ডিজিটাল ডায়াগস্টিক সেন্টারের ম্যানেজার আবুল কামাল জানান, এই রিপোর্ট অনেক আগের ঘটনা এখন এই বিষয়ে আমার কোন কিছু জানা নেই। আমি নতুন করে পরিচালনা করার জন্য দায়িত্ব নিয়েছি। হাসপাতাল মালিক আলি হোসেনের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হয়নি।এই বিষয়ে ভুক্তভোগী আফসানা এর স্বামী বলেন, আমার স্ত্রী আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে দুটি বেবি আছে বলে এমন ভুল রিপোর্ট দেন। এর কয়েক মাস পর পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে একটি বেবি আছে বলে জানা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। একটি সরকারি হাসপাতালের সামনে এরকম ভুয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কারণে হয়রানির শিকার হতে হস্থে অনেক রোগীদের। আরও জানা যায় মালিক পক্ষে লোকজন বিভিন্ন সময় সরকারি হাসপাতালের সামনে থেকে বিভিন্ন রোগীকে ভুলিয়া বালিয়ে এই হাসপাতালে ভর্তি করেন। মালিকপক্ষের লোকজন প্রভাবশালী হওয়ার কারণে মুখ খুলতে পারে না কোন ভুক্তভোগী এর সুষ্ঠু সমাধান না হলে সেবা পেতে এসে প্রতারণার শিকার হবে আরো অনেক রোগী। শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ প্রণয় ভূষণ দাস জানান, আল ফুয়াদ ডিজিটাল ডায়াগস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম কিছু দিন আগে বন্ধ ছিল। এঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।