গতকাল সোমবার ২৯ এপ্রিল জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে অনুষ্ঠিত ‘পরিবেশ আইন মান্যতা : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’ শীর্ষকএক সেমিনারে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরেরমহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেছেন, “সরকারিকর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালন ৯টা-৫টায় শুধু ফাইলে সীমাবদ্ধনয়, নিজ অফিস ও বাসভবনে গাছ লাগানো, ছাদবাগানসৃষ্টি, নগরীতে বসবাসরত পাখিদের জন্য ছাদে বা বারান্দায়সামান্য খাবার ও পানি দেয়ার মাধ্যমে একটি প্রকৃতিবান্ধববাংলাদেশ গড়ে তোলাও দায়িত্ব। কোনভাবেই সনাতনপদ্ধতির ইটভাটা পরিবেশের জন্য নিরাপদ নয়। নদনদী-জলাশয়ে হাজার হাজার মেট্রিক টন পলিমাটি অব্যবহৃত পড়েআছে, যা দিয়ে টেকসইভাবে ঐড়ষষড়ি প্রযুক্তিতে ভবন নির্মাণনিশ্চিত করতে হবে। অতি ভোগের প্রবণতা কমিয়ে পরিমিতজীবনযাপনে অভ্যস্ত হতে হবে। একজন সরকারি কর্মকর্তারজন্য কত সেট জামা প্রয়োজন? কেন আলমারি ভর্তি শত শতশার্ট, শাড়ি জমিয়ে রাখতে হবে? এসব পোশাক উৎপাদনে কিপরিমাণ রাসায়নিক ব্যবহৃত হয়ে বর্জ্যের মাধ্যমে নদী ও জলাধারগুলো বিষাক্ত হয়ে পরিবেশের যে মারাত্মক বিপর্যয়ঘটছে, তা’ আমরা ভুলে যাচ্ছি। অদ্ভূত এক ভোগ ও স্বার্থপরতায় সমাজ তলিয়ে যাচ্ছে। এমন হলে মানবসভ্যতারধ্বংস অনিবার্য। মহান আল্লাহর অপরুপ সৃষ্টিকৌশলেরনিদর্শন এ পৃথিবীর পরিবেশ সুরক্ষায় সরকারি কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও তরুণদের বৈপ্লবিক চেতনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। শুধু বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে লোভনীয় পদ পদবী অর্জন মানেজীবনের সফলতা নয়। মানুষ ও সৃষ্টির কল্যাণ এবং পরিবেশসুরক্ষা মানব জীবনের অন্যতম লক্ষ্য”। সেমিনারে অংশগ্রহণকরেন জাতীয় আর্কাইভ ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর কর্তৃকআয়োজিত প্রশিক্ষণ কোর্সের প্রশাসনসহ সরকারি বিভিন্নদপ্তরের ৪০ জন কর্মকর্তা। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকরেন বিজ্ঞান জাদুঘরের পরিচালক মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম। পরে সেমিনারে আগত কর্মকর্তারা জাদুঘরের বিভিন্ন গ্যালারিপরিদর্শন করেন।