সোনালি মাঠ আর বাতাসের দোলানিই বলে দিচ্ছে আর ক দিন পর স্বপ্ন পুরন হতে চাচ্ছে কৃষকের। চলতি বোরো মৌসুমে গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে খালবিল, নদীনালা, ডোবা নর্দমায় ব্যাপকভাবে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। বিশেষ করে বিগত বছর গুলোর তুলনায় এ বছর চাষীরা আগাম বোরো ধানের চাষ করায় ব্যাপক ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। পৌরসভার ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শার্মিলা শারমিন বলেন আমার ব্লকে ১১৫০ হেঃ জমিতে ধান চাষ হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় রোগ ও পোকা আক্রমন কম।উৎপাদন খরচ কম। ফলন তুলনা মুলক অনেক বেসি।আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে তাদের ভাগ্যের চাকা ঘুড়িয়ে যাবে।তবে চলমান দাবদাহ গরমে অতিষ্ঠ হলেও কৃষক চাচ্ছেনা বৃষ্টি হোক। একাধিক বোরো ধান চাষীর সাথে আলাপকালে জানা যায়,তারা কোন মতেই চাইছেন না বৃষ্টি হোক।চলমান দাবদাহে হয়তো অনেক কষ্ট হচ্ছ্,েতবে মাথারঘাম পায়ে ফেলে যে সোনালি ফসল আমরা ফলিয়েছি তা ঘরে উঠাতে পারবো ইনশাল্লাহ। উপজেলার সকল ইউনিয়নে একইভাবে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। তারা আরও জানান, ধানের চারা রোপনের পর থেকেই আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় তারা পতিত জমি বিশেষ করে খালবিল, নদী-নালা, ডোবা নর্দমায় যেখানেই চারা রোপন করেছেন সেখানেই ধানের চাষ আশানুরুপ হয়েছে। ফলে এবছর শেষ পর্যন্ত অর্থাৎ ধান কেটে ঘরে তোলা পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা কায়সার মিশু জানান, চলতি বছর পলাশবাড়ী উপজেলায় প্রায় ৫ হাজার বোরো চাষীকে কৃষি প্রনোদনা হিসেবে বিনামূল্যে উচ্চ ফলনশীল হাইব্রীড ধানের বীজ দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন এবারে ১১ হাজার ৮ শ ৯ হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে প্রায় ৫৩ হাজার মেঃ টন ধান ঘরে তোলা সম্ভব ।পৌরসভা ব্লকের ধান চাষী শাহিন মিয়া, দুলাল মিয়ানুরুলইসলাম , আনারুল হক সাংবাদিকদের জানান, বিগত বছরে যে সকল জমি পতিত ছিল এবছর সে সব জমিতেও বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। ফলে ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।তবে চলমান আবহাওয়ায় কষ্ট হলেও বৃষ্টি না হলে তাড়াতাড়ি আমার সোনালি ফসল ঘরে তুলতে পারবো।