টি আলী স্যার ফাউন্ডেশন সম্মাননা পদক-২০২৪ আলী আমজাদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলী আমজাদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: ময়নুল হক এর সভাপতিত্বে সম্মাননা পদক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ফজলুর রহমান। এ সময় তিনি বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। আর শিক্ষকরা সেই মেরুদন্ড তৈরির শ্রম শিল্পী। একটি শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে যেমন স্নেহ-ভালোবাসা পেয়ে বড় হয়, তেমনি শিশুর ভবিষ্যৎ লক্ষ্যে পৌঁছাতে শিক্ষকেরা আলোর দিশারি হয়ে কাজ করেন। মা-বাবার পরে শিক্ষকরাই শিক্ষার্থীদের জীবনে সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার করেন। একজন ভালো শিক্ষকই শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য সঠিক পথ দেখাতে পারেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং টি আলী স্যার ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ সমন্বয়ক কবির খান। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন টি আলী স্যার ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি আব্দুল কাদির চৌধুরী মুরাদ। অনুষ্ঠানে ১৪ জন শিক্ষককে সম্মাননা পদক দেওয়া হয়। তারা হলেন- মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মো: শফিকুর রহমান, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মো: ফজলুর রহমান, রাজনগর উপজেলার আব্দুল করিম, রাজনগর উপজেলার নিরঞ্জন কুমার দেব, কমলগঞ্জ উপজেলার নিহারেন্দু ভট্রাচার্য্য, কমলগঞ্জ উপজেলার মো: আমজদ আলী, শ্রীমঙ্গল উপজেলার মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ, শ্রীমঙ্গল উপজেলার দ্বীপেন্দ্র চন্দ্র ভট্রাচার্য্য, কুলাউড়া উপজেলার মো: মাশুক, কুলাউড়া উপজেলার মো: খুরশীদ উল্লাহ, জুড়ী উপজেলার আবুল ইসলাম, জুড়ী উপজেলার হিমাংশু মোহন পাল, বড়লেখা উপজেলার মো: আজিম উদ্দিন এবং বড়লেখা উপজেলার নিরঞ্জন চন্দ্র দাস। টি আলী স্যার ফাউন্ডেশন সম্মাননা পদক পেয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলার মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, জীবনে সফলতার পেছনে যার দক্ষতা ও দিকনির্দেশনা থাকে তিনি হচ্ছেন শিক্ষক। একজন শিক্ষককে প্রথমে একজন ভালো মানুষ হতে হবে। শিক্ষককে শুনতে হবে সহকর্মী থেকে শিক্ষার্থী সবার কথা। মনে রাখতে হবে শুধু ভালো পড়ালেই ভালো শিক্ষক বলা যাবে না। তাকে নৈতিকভাবে উন্নত হতে হবে। তার মাঝে আদর্শ ও মূল্যবোধ থাকতে হবে- যে কারণে শিক্ষার্থীরা তাকে সম্মান করবে এবং চিরকাল সেই আদর্শকে অনুসরণ করবে। কেননা একজন ভালো শিক্ষকই দিতে পারেন ভালো শিক্ষা। হয়তো এ কারণেই শিক্ষককে বলা হয় মানুষ গড়ার কারিগর। আমার শিক্ষকতা জীবনেও শিক্ষার্থীদের শেখানোর প্রতি দায়বদ্ধতা পরিপালনে সর্বদা সচেষ্ট থেকেছি। আমি টি আলী স্যার ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমাকে সম্মানিত করায়। কুলাউড়া উপজেলার মো: মাশুক অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ১৯৭১ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত আমি শিক্ষকতা করেছি। যে জাতি যত শিক্ষিত সে জাতি তত উন্নত। তাই কোনো জাতিকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার জন্য শিক্ষকদের মযার্দা দেয়া প্রয়োজন। এই সম্মাননা আমার দীর্ঘ কর্মজীবনের ফসল। এছাড়াও অনুষ্ঠানে আলী আমজাদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।