ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নে দয়ারামপুর গ্রামে আগুন লেগে ৪ পরিবারের প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আগুনে ঘরের সমস্ত মূল্যবান মালামাল সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এখন খুব কস্টে জীবন যাপন করছেন। রবিবার ২৮ শে এপ্রিল সন্ধ্যা ৬ টার দিকে উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের দয়ারামপুর গ্রামের ৪ চার পরিবারের বাড়িতে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ওই ৫ ঘরে ৪ টি পরিবারের বসবাস ছিল। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই আগুনে জাকির হোসেন মোল্যা, প্রায় ১ লক্ষ টাকা রেজাউল মোল্যা প্রায় ২লক্ষ টাকা , ছিরু মোল্যা প্রায় ১লক্ষ টাকা এবং তুরান মোল্যার প্রায় ১লক্ষ টাকার ঘরের মধ্যে থাকা নগদ টাকা , আসবাপত্র সহ মূল্যবান জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সন্ধা ৬ টার দিকে দয়ারামপুর গ্রামের জাকির মোল্যার রান্না ঘরে প্রথমে রান্না করার সময় থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই তা জাকির হোসেন মোল্যা সহ পাশ্ববর্তী রেজাউল ইসলাম, জাকির হোসেন মোল্যা, ছিরু মোল্যা, তুরান মোল্যার ঘরে ছড়িয়ে পড়ে । খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে আগুন নিয়ন্ত্রনে আসার আগে ৪ পরিবারের আনুমানিক প্রায় ৫লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। রেজাউল , ছিরু ও তুরান মোল্যার পরিবার নিয়ে এই ঘরগলোতে বসবাস করতেন , আরে জাকির মোল্যার রান্না ও গোয়াল ঘর রান্নার কাজে ও গরু রাখার কাজে ব্যবহার করতেন। কামারখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ৪নং ওয়ার্ডের সভাপতি ও দয়ারামপুর গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মাদ আলী মোলা জানান, অগ্নিকান্ডে ৪টি পরিবারের প্রায় ৫লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা এখন খুব কস্টে জীবন যাপন করছেন। মধুখালী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রাশেদুল ্আলম অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার ফলে আশপাশের আরও কয়েকটি ঘর ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। তবে আগুনের সুত্রপাত জাকিরের স্ত্রী পান্না রান্না করার সময় রান্না ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। সংবাদ পেয়ে কামারখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাকিব হোসেন ইরান ও ইউ.পি. সদস্য আশরাফ মোল্যা পোড়া বাড়ী ছুটে যান এবং সরকারী সাহায্যে পাওয়ার ব্যবস্থা করবেন বলেন আশ্বাস দেন । সংবাদ পেয়ে মধুখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামনুন আহমেদ অনীক সাথে সাথে শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করেন।