যশোরের বসুন্দিয়ার সদুল্লাপুর ভৈরবের শাখা নদী (কাটা খাল) থেকে নিখোঁজ ইজিবাইক চালক ইমনের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় পুলিশ অজ্ঞাত অবস্থায় লাশ উদ্ধারের পর পিবিআই নিহতের পরিচয় শনাক্ত করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ইমনকে হত্যা করে তার ইজিবাইক ছিনতাই করে দুর্বিত্তরা। পরবর্তিতে ইমনের লাশ নদীতে ফেলে চলে যায় তারা। ইমন অভয়নগর উপজেলার প্রেমবাগ ইউনিয়নের আবুল কালামের ছেলে। বাবা আবুল কালাম জানান, গত ২৮ এপ্রিল ভোর ৬টায় ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় ইমন। এরপর আর বাড়ি ফেরেনি ইমন। ব্যবহৃত মুঠোফোনে ফোন দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। বাইক স্ট্যান্ডে খোজ নিলে অন্য চালকরা জানায়, সবশেষে বসুন্দিয়ার দিকে ভাড়া নিয়ে যেতে দেখেছে তারা। এঘটনায় তারা অভয়নগর থানায় সাধারন ডায়েরি করেন তারা। শেষমেষ পুলিশের কাছথেকে ছেলের মৃত্যুর খবর তারা জানতে পেরেছেন। স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে নয়টায় নদীর পাড় থেকে প্রচন্ড দূর্গন্ধ পান। পরবর্তীকে তারা একটি বস্তায় ভরা এক যুবকের লাশ ভেসে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে। মুহুর্তের মধ্যে পুলিশ, পিবিআই, ডিবিসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর একাধিক টিম ঘটনাস্থলে আসে। পরবর্তিতে ফিঙ্গার প্রিন্ট ও ইমনের কাছে থাকা মোবাইলের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করা হয়। কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক জানান, গত ২৮ এপ্রিল নিখোঁজ হয় ইমন। এঘটনায় অভয়নগর থানায় জিডি করা হয়। পরবর্তীতে গতকাল সকালে লাশ উদ্ধার হয়। ইমনের পরিবারের সদস্যরা এসে পরিচয় শনাক্ত হয়। লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ইজিবাইক ছিনতাই করতে হত্যা করা হয়েছে ইমনকে। পরে লাশ ফেলে দেয়া হয়েছে নদীতে। পুলিশ এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।