ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার প্রাচীণতম বাজার বাঙ্গরা বাজার। এই বাজারটিতে যাতায়াত কুমিল্লা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রায় ৪০/৫০ টি গ্রামের মানুষের । কয়েকশো বছর আগে থেকে এই এলাকার মানুষের একমাত্র ভরসা এই বাজারটি। অন্যদিকে যোগযোগ ধরে প্রায় ১০০ জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এই বাজারে ব্যবসা করে তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে জিবীকা নির্বাহ চলছে । গেলো এক বছর আগে বাঙ্গরা বাজারের রাস্তা নির্মাণের জন্য তৎকালীন সংসদ সদস্যের নির্দেশে ৩ মাসের জন্য দোকানপাট গুলো সরিয়ে দেন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি রবিউল আউয়াল রবি। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ওই বাজারের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অসংখ্য ব্যবসায়ী। এরমধ্যে স্থানীয় এনজিও থেকে লোন নিয়ে ব্যবসা না থাকায় ঠিক সময় কিস্তি পরিশোধ না করতে পারায় ঋণের চাপে স্ট্রোক করে মরে যাওয়ারও ঘটনা ঘটে। এদিকে এক বছরে কোন কুল কিনারা না পাওয়ায় ঋণের চাপ সহ্য না করতে পেরে ব্যবসায়ীরা নিজেদের উদ্যোগে আবারও দোকান গুলো নির্মাণ করছেন । তারা বলছেন সরকারি জায়গা যদি সরকার ফেরত চান তাহলে তারা সড়ে যাবেন জায়গা থেকে। স্থানীয় একাধিক ব্যবসায়ী জানান,বাঙ্গরা বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হলে লাভবান হয় পার্শ্ববর্তী গাজীরহাট বাজার,তাদের কু-দৃষ্টি প্রতিনিয়ত পড়ে থাকে এই বাঙ্গরা বাজারের প্রতি।গাজীরহাট বাজারের ব্যবসায়ী সমিতি পরিকল্পিত ভাবে যানজটের সৃষ্টি করে যাতে করে ঝামেলায় পড়তে হয় বাঙ্গরা বাজার কমিটিকে, নবীনগর উপজেলার এই প্রাচীন বাজারটিকে নিয়ে চলছে ষড়যন্ত্র। বাঙ্গরা বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো:আব্দুল কুদ্দুস বলেন,এই বাজারটি না থাকলে পাশের গাজীরহাট বাজার হয় জমজমাট। এতে ক্ষতি হয় নবীনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার টি। গাজিরহাট বাজারে ব্যবসায়ী সমিতি গাজিরহাট বাজার টিকে অবৈধভাবে দখল করে রাখার নানান কৌশল অবলম্বন করছেন।