বিশ্ব স্কাউট সংস্থা ও জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচী (ইউএনইপি) পরিবেশ বিষয়ক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে “বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার এবং বাংলাদেশের একমাত্র, বিশ্বের অন্যতম প্রবালসমৃদ্ব সামুদ্রিক দ্বীপ সেন্টমার্টিনের” জীববৈচিত্র্য ও প্রতিবেশ সুরক্ষায় স্থানীয় জনগন ও পর্যটকদের সচেতন করার জন্য ১৯ থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত সমুদ্র সৈকতের পরিচ্ছন্নতা ও সচেতনতা ক্যাম্পেইন বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশ স্কাউটস গাজীপুর জেলা স্কাউটস ও রোভারের রাণী বিলাসমণি (আরবিএম) মুক্ত স্কাউট গ্রুপ। তাদের নিয়মিত পরিবেশ প্রকল্প ও “টুয়ার্ড সাসটেইনেবল সাসটেইনেবিলিটি প্রজেক্টে” এর ৪ জন সদস্য ক্যাম্পেইন বাস্তাবয়ন করে। সদস্য বৃন্দ হলেন, বাংলাদেশ স্কাউটসের জাতীয় নির্বাহী কমিটির ইয়ুথ সদস্য রোভার স্কাউট মোঃ রাকিব হাসান শিপু, আরবিএম মুক্ত স্কাউট গ্রুপের সদস্য মাহমুদ হোসাইন সাজেদিন, মো. রাফায়েত হোসেন রাফি ও দিদার আহমেদ। সার্বিক সহযোগিতা করেন গ্রুপের সভাপতি এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপসচিব) মোঃ আবু নাসার উদ্দিন, সহ-সভাপতি মোঃ এরশাদ হোসেন এবং গ্রুপ সম্পাদক মোঃ আওলাদ হোসেন।
মোঃ আবু নাসার উদ্দিন বলেন, সরকার পরিবেশ, জলবায়ু, জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কাজ করেছে। নিজ নিজ অবস্থান থেকে সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে উক্ত কাজের সফলতা অর্জন সহজ এবং দ্রুত হবে। এসডিজি-টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট, লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও আপনি ভূমিকা রাখতে পারবেন। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সবাইকে নিদিষ্ট স্থানে ময়লা আবর্জনা, প্লাস্টিক দ্রব্য ফেলা, জীববৈচিত্র্য রক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে নিজে সচেতন হয়ে পাশাপাশি অন্যকেও সচেতন করার আহবান জানান।
ক্যাম্পেইনের আওতায়, বিশ্ব পানি দিবস ২০২৩ উদযাপনের অংশ হিসেবে কক্সবাজারের লাবনী পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট, ইনানী এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটকদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি, ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্তকরণ ইত্যাদি কাজ করা হয়। সেন্টমার্টিন দক্ষিণপাড়া শেখ রাসেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাচ্চাদের সাথে কাবিং ও স্কাউটিং নিয়ে আলোচনা। সেন্টমার্টিন দ্বীপে ৩০ বস্তা প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ ও স্থানীয়দের মাঝে সচেতনতা তৈরির জন্য লিপলেট বিতরণ করা হয়।