যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ব্যক্তিমালিকানাধীন ভবনকে সংগঠনের নামে উদ্বোধনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম উৎকণ্ঠা ও দোটানায় পড়েছে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন। এ নিয়ে সংগঠনের সাধারন সদস্যেদের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয় সময় রোববার (৮ জানুয়ারি) নিউ ইয়র্কের অ্যাস্টোরিয়ায় ব্যক্তিমালিকানাধীন ভবনকে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের নিজস্ব ভবন বলে উদ্ভোধন বলে করা হলে সদস্যদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ অনুষ্ঠানে প্রবাসী সিলেটবাসীসহ কমিউনিটির বিপুল সংখ্যক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকলেও অনুপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি বদরুল খান, সাবেক সভাপতি আজমল হোসেন কুনুসহ অনেক প্রবীন সদস্য।
নিউ ইয়র্কে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের নতুন ভবন উদ্বোধনের খবর পেয়ে সমিতির বর্তমান সভাপতি বদরুল খান তার নিজস্ব ফেসবুক স্ট্যাটাসে সাধারন সম্পাদক মইনুল ইসলামের সাথে দ্বিমত প্রকাশ করে লেখেন যুক্তরাষ্ট্রস্থ জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের নিজস্ব কোন ভবন নেই। ব্যক্তিমালিকানাধীন ভবনকে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের অব আমেরিকা ইনক’র ভবনের নামে অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানান তিনি।
তিনি উল্লেখ করেন বর্তমান কার্যকরী কমিটি, প্রাক্তন কার্যকরী কমিটি কিংবা উপদেষ্টা পরিষদ কারো দ্বারা এ ধরনের প্রক্রিয়াও গ্রহণ করা হয়নি। কতিপয় ব্যক্তিবর্গ তাদের নিজস্ব নামে ক্রয়কৃত ভবনকে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের ভবন হিসেবে পরিচিতি দিতে প্রাণান্ত প্রচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে বলে তিনি জানতে পারেন। জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকার কার্যকরী কমিটি এ ধরনের হীন উদ্দেশ্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
এ ধরনের অযাচি্ত উদ্যোগ প্রবাসী বৃহত্তর সিলেটবাসীর দীর্ঘদিনের লালিত সুশৃংখল ও ঐতিহ্যবাহী মানবিক সংগঠনকে বিতর্কিত এবং বিশৃঙ্খল সংগঠনে পরিণত করার স্বার্থান্বেষী অপচেষ্টা বলে তিনি মনে করেন। কোন অপশক্তি দুষ্টচক্র কর্তৃক বৃহত্তর সিলেটবাসীর ঐক্য-সংহতির প্রতীক, বিশ্বময় সমাদৃত এ মহতি সংগঠনের নামে অপপ্রচার থেকে সাবধানতা ও দূরত্ব বজায় রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে, রোববার (৮ জানুয়ারি) ব্যক্তিমালিকানাধীন ভবনকে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকার নিজস্ব ভবন বলে উদ্ভোধন করা হয়। জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক কমিটির সভাপতি হেলাল চৌধুরী, সাবেক সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান শেফাজ ও বর্তমান সাধারন সম্পাদক মইনুল ইসলামের প্রচেষ্টায় কুইন্সের এস্টোরিয়ায় প্রায় সাড়ে ৮ লাখ ডলারে ভবনটি ক্রয় করা হয়। এ ভবন ক্রয়ে সবচেয়ে বেশি অবদান মইনুল ইসলামের। এটি তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিও ছিল। প্রবাসী সিলেটবাসীরা মনে করেন তার প্রানপন চেষ্টাতেই এ ভবন কেনা সম্ভব হয়েছে। অনুষ্ঠানে সাবেক সভাপতি শওকত আলী, সাবেক সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান শেফাজ, জুনেদ খান, ট্রাষ্টি বোর্ডের সাবেক সদস্য মঞ্জুর আহমেদ চেূৗধুরী ও আওয়ামীলীগ নেতা হাজি এনাম উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শওকত আলী, মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, ফকরুল ইসলাম দেলোয়ার, রানা চৌধুরী, জুনেদ খান, খলিল আহমেদ, আসাদ উদ্দীন, শেফাজ, শেখ জামাল, হাজি এনাম, এম এন মজুমদার, এ এফ এম জামান, এম এ করিম, আতাউল খান আসাদ, আব্দুল জব্বার, মাসুক মিয়া, পংকি মিয়া, মাওলানা সাইফুল আলম সিদ্দিকী, রুমানা আহমেদ, মনির আহমেদ, জালাল আহমেদ, শাহ মিজান, ফারুক শামীম, মোদাব্বির হোসেন, আব্দুল রাজা, হাজি আব্দুল জব্বার,শামসুল ইসলাম ও আযম চৌধুরী।