রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ব্রিটিশ আমল থেকে এখন পর্যন্ত একমাত্র আওয়ামী লীগ ছাড়া কোনো দল ক্ষমতায় থাকাকালীন বাংলাদেশ রেলওয়ের উন্নয়ন করেনি। বিএনপির আমলে রেলওয়ের অগ্রযাত্রা চরমভাবে ব্যাহত হয়েছিল। ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর রেলওয়ের উন্নয়নে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়া হয়। যার ফল রেলওয়ে পেতে শুরু করেছে।
সোমবার বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের মূলতবি অধিবেশনের শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্বে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ১৯১৪ সাল থেকে শুরু করে ২০০৯ পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময়কাল ব্যতীত এবং শেখ হাসিনার আমল ছাড়া অন্য কোনো সরকার রেলপথের উন্নয়নে ভূমিকা নেয়নি। শোষণ ও বঞ্চনা করে এই খাত ধ্বংসের মুখে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর রেলপথের উন্নয়নে বিপুল বিনিয়োগ করা হয়। যার ফল রেলওয়ে পেতে শুরু করেছে। পরিপূর্ণ ফলাফল পেতে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলো শেষ হলে রেলওয়ে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।
তিনি আরো বলেন, ব্রিটিশ শাসকগোষ্ঠী নিজেদের ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনার প্রয়োজনে ভারতীয় উপমহাদেশে রেলওয়ের গোড়াপত্তন করে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর যখন তারা নিজেদের সাম্রাজ্যবাদের পতন বুঝতে পারে তখন থেকেই বিনিয়োগ বন্ধ করে দেয়। এরপর পাকিস্তান শাসনামলেও রেলওয়ের কোনো উন্নয়ন হয়নি।
নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেলওয়ের পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর ক্ষমতায় আসা দলগুলো রেলপথের উন্নয়নে কোনো ভূমিকা নেয়নি। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা ও একক সিদ্ধান্তে বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর রেল সংযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়। রেলের উন্নয়নে পদক্ষেপ নেয়া হয়। এরপর বিএনপি ক্ষমতায় এলে রেলওয়ের অগ্রযাত্রা আবারো ব্যাহত হয়। ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা ফের ক্ষমতায় এসে রেলওয়েকে ধ্বংসের মুখ থেকে ফিরিয়ে আনেন।