পাকিস্তানের সেবাবাহিনীর ঊর্ধতম কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের যে দ্বন্দ্ব চলছে তা ক্রমেই প্রকাশ্যে আসছে। গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের ইতিহাসে নজিরবিহীন এক সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েছেন দেশটির গোয়েন্দাপ্রধান।
রিপোর্ট, বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েছিলেন দেশটির শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার–সার্ভিসেস ইনটেলিজেন্সের (আইএসআই) প্রধান লেফটেন্যান্ট–জেনারেল নাদিম আনজুম এবং প্রধান সামরিক মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট-জেনারেল বাবর ইফতিখার। সংবাদ সম্মেলনে তারা ইমরান খানের বিরুদ্ধে এক প্রকার বোমা ফাটিয়েছেন।
জেনারেল নাদিম বলেন, সরকার টেকাতে ইমরান খান সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়াকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সেনাপ্রধান হিসেবে থাকার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। যা বাজওয়া প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ইমরান খানের সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভের আসল কারণ জেনারেল বাজওয়া। ইমরানের সরকারকে অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে সমর্থন দিতে সেনাবাহিনী তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
এরপরেই গতকাল শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া বহুল প্রত্যাশিত লং মার্চে সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বের প্রতি ঝাঁঝালো বক্তৃতা দিয়েছেন ইমরান খান। তিনি বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনকে ‘রাজনৈতিক’ বলে আইএসআই প্রধানকে অভিযুক্ত করেছেন। একইসঙ্গে দলের এক নেতাকে নির্যাতনের জন্য তাদের অভিযুক্ত করেছেন ইমরান খান।
দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়াকেও উল্লেখ করে ইমরান খান বলেন, এসব কর্মকর্তা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছেন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী নাদিম আনজুমকে সতর্ক করে বলেন, তিনিও অনেক গোপন কিছু জানেন, কিন্তু দেশ ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে আমি চুপ আছি।
ইমরানের লং মার্চে জনতার ঢল
তিনি আরও বলেছেন, আমি পলাতক নওয়াজ শরীফের মতো না যে লন্ডন পালিয়ে যাবো এবং এরপর সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিষ ছড়াবো।
এ ছাড়া ইমরান খান বলেছেন, তিনি সবসময়ই সেনাবাহিনী ও অন্যান্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গঠনমূলক সমালোচনা করেছেন কারণ তিনি পাকিস্তানকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চান। এ দিকে দ্বিতীয় দিনের মতো ইমরান খানের লং মার্চ শুরু হয়েছে। জিও নিউজ, ডন