চট্টগ্রামে গত ১৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় কোতোয়ালী থানাধীন খাতুনগঞ্জস্থ চাঁন মিয়া লেইন সামির ট্রেডিং নামক প্রতিষ্ঠানের সামনে রাসেল মিয়া, সাদ্দাম, সোহাগ সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন জনতাবদ্ধে লেবার মাঝি মোঃ মাসুদকে এলোপাতাড়ী কিল, ঘুষি মারতে মারতে এবং ধারালো ছোরা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে লেবার মাঝি মোঃ মাসুদ এর বুকে ও পেটে এলোপাতাড়ী ঘাই মেরে গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম করে। উক্ত ঘটনায় লেবার মাঝি মোঃ মাসুদ এর ছেলে মোঃ বাবুল বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করলে কোতোয়ালী থানার মামলা নং-২১(১০)২২, ধারা-১৪৩/৩২৩/৩২৪/৩০৭/৩২৬/৫০৬ দঃবিঃ রুজু হয়। মামলা হওয়ার পর কোতোয়ালী থানার অফিসার নিয়ে একাধিক চৌকস টিম গঠন করা হয়। তারা আশেপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ ও তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে আসামীদের শনাক্ত পূর্বক চট্টগ্রাম এর বাকলিয়া থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে নৃশংস হত্যাকান্ডে জড়িত আসামী মোঃ সোহাগ (২২)’কে ২০ অক্টোবর দুপুরে বাকলিয়া থানাধীন মোজাহের কলোনী থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার পূর্বক তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর তার দেওয়া তথ্য মোতাবেক উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পুলিশ পরিদর্শক (অপাঃ) রুবেল হাওলাদার, এসআই মোঃ মোমিনুল হাসান এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মৃণাল কান্তি মজুমদার সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সদের নিয়ে কুমিল্লা জেলার বাঙ্গরাবাজার, ব্রাম্মনবাড়ীয়া জেলার নবীনগর, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, রুপগঞ্জ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ২১ অক্টোবর রাতে ব্রাম্মণবাড়ীয়া জেলার নবীনগর থানাধীন কাশিপুর এলাকা থেকে নৃশংস হত্যাকান্ডে জড়িত অপর আসামী ২) মোঃ সাইদুল হোসেন(২২), ‘কে গ্রেফতার করে। ধৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় যে, তাদের সহযোগী পলাতক আসামী ৩) রাসেল মিয়া (২২), এর সাথে অত্র মামলার ভিকটিম মোঃ মাসুদ (৪০) এর ১৭ অক্টোবর সকাল ১০.০০ ঘটিকা হইতে ১০.৩০ ঘটিকার মধ্যে যেকোন সময় কোতোয়ালী থানাধীন খাতুনগঞ্জস্থ চাঁন মিয়া লেইন সামির ট্রেডিং নামক প্রতিষ্ঠানের সামনে রাস্তার উপর পিকআপ ঢোকার বিষয় নিয়ে কথা কাটিকাটি হয়। আসামী রাসেল মিয়া তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল হতে চলে গেলেও উক্ত ঘটনায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে ১৭ অক্টোবর সন্ধ্যা অনুমান ৭.২০ ঘটিকার সময় খাতুনগঞ্জস্থ চাঁন মিয়া লেইন সামির ট্রেডিং নামক প্রতিষ্ঠানের সামনে তার সহযোগীদের কে নিয়ে এসে লেবার মাঝি মোঃ মাসুদ কে জাপটে ধরে মারধর করতে থাকে। উক্ত সময়ে লেবার মাঝি তার কাছে থাকা মালামাল লোড আনলোডের হুক দিয়ে আসামীদেরকে আঘাত করার চেষ্টা করে এবং নিজেকে বাচাঁনোর চেষ্টা করে। একপর্যায়ে ধৃত আসামী মোঃ সাইদুল হোসেন তার পকেট থেকে টিপ ছোরা বের করে মাসুদকে ছুরিকাঘাত করে। ছুরিকাঘাত করে তারা নিজেদের আত্মগোপন করার জন্য বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে যায়। ধৃত আসামী মোঃ সাইদুল ইসলাম এর দেয়া তথ্য ও শনাক্ত মোতাবেক ২১ অক্টোবর ভোরে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি বাকলিয়া থানাধীন হাজী আমিনুর রহমান সড়কস্থ হিফস এগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ এর দক্ষিণ পার্শ্বে খালি জায়গা হইতে উদ্ধার করা হয়।
নবচেতনা/আতিক