মাগুরা জেলা শ্রীপুর উপজেলার নাকোল ইউনিয়নের ও ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের সীমান্তবতি গড়াই নদীর নাকোল ফেরীঘাট নামে খেয়াঘাট অবস্থিত। দীর্ঘদিন যাবত খেয়াঘাট বন্ধ থাকায় দুই জেলার মানুষের মাঝে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে কয়েক ইউনিয়নের হাজারো মানুষ। গত ১৫ ই মে সকালে ডুমাইন ইউনিয়নের ডুমাইন খেয়াঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, ঘাট এলাকায় নীরবতা। ঘাটে নেই যাত্রীর জন্য মাঝি মাল্লাদের হাঁকডাক। ঘাট এলাকার দোকান ব্যবসায়ী ঈমান শেখকে অলস বসে থাকতে দেখা যায়। ঘাটের দুই পারে ভ্যানচালক ইজিবাইক চালক ছাতক পাখির মতো চেয়ে আছে কিন্তু কেউ আসে না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন খেয়াঘাট বন্ধ হওয়ায় আমরা অনেক দুঃখে কষ্টে আছি। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত নিজেদের কাজ কর্ম ও গন্তব্যে এবং স্খুল ও কলেজে পৌঁছাতে এই নদী পারাপার হতে হয় তাদের। এই ঘাট পার হয়ে ফরিদপুর জেলার সাথে মধুখালী, শ্রীপুর থানাসহ, মাগুরা, ঝিনেইদহ , যশোর জেলা সহ অনান্য জেলায় লোকজান যাতায়াত করে থাকেন। খেয়াঘাটে নৌকা না থাকায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের এ বিষয়ে নাকোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমাউনুর রশীদ বলেন আমি ঘাট বন্ধের ব্যাপরে সংবাদ পেয়ে অবগত হলাম । তবে জনগনের সমস্যার কথা চিন্তা করে সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে। স্থানীয় আগের ইজারাদার চিত্র রঞ্জন পাত্র বলেন আমার পূর্ব পুরুষেরা এই খেয়া ঘাট চালিয়েছে , আমারও জীবন চলে গেল কিন্তু এবার ঘাট বেশী দাম বিক্রি হওয়ার ও মাগুরা জেলার ইজারাদারদের কেনার কারনে তারা আমাকে চালাতে নিষেধ করেছে এবং তাদের নৌকা না থাকায় এই খেয়াঘাট দিয়ে পারাপার বন্ধ রয়েছে প্রায় ১মাস। সরজমিনে গেলে দেখা যায় অনেকই আসছেন পারাপারের জন্য কিন্তু পারাপারের ব্যবস্থা না থাকায় আবার ফিরে যাচ্ছেন তারা। এ বিষয়ে খেয়াঘাটের খেয়া পারের ভোগান্তি জনসাধারন সচেতন নাগরিকের সহ মাগুরা জেলা ও শ্রীপুর উপজেলা প্রশাসনের নিকট জোরালো দাবী জানান যাতে অচিরেই এই সমস্যা সমাধান হয়ে যায়।