এস.এস.সি পরীক্ষার্থী ফৈরদৌস মোল্য (১৮) তার সহপাঠীদের সাথে মধুমতি নদীতে গোসলে নেমে ছিলেন। নিখোঁজের প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর তাকে বাড়ি ফিরতে হলো লাশ হয়ে। গত মঙ্গলবার বিকেল প্রায় ১.৩০ মিনিটের দিকে কামরখালী ইউনিয়নে মধুমতি নদী থেকে ফৈরদৌস মোল্যা (১৮) নামে ওই ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার ফুলবাড়ী গ্রামের সাখাওয়াৎ মোল্যা ও দিলরুবার বড় ছেলে। একসঙ্গে গোসল করতে নামা সহপাঠীরা জানান ফুলবাড়ী মধুমতি নদী বাঁধের ঘাটে তারা কয়েকজন মিলে মঙ্গলবার বিকেল প্রায় ১.৩০ মিনিটের দিকে গোসল করতে নামেন। সবাই নদী সাঁতরে গোসল করেন এবং এপার থেকে ওপারে যান। ঘাটে দীর্ঘ সময় গোসল করার পর তারা মনে করেন ফেরদৌস বাড়ী চলে গেছে । তখন তারা তার কাপড় চিনে বাড়ীতে নেড়ে দিয়ে যান । এই ভাবে দিন অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পর সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়ী না পাওয়ার পর তার পরিবারের লোক তাকে খুঁজে না পেয়ে আশপাশের লোকদের খবর দেন। পরে খবর দেওয়া হয় ফায়ার সার্ভিসে। ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার সাইফুল ইসলাম জানান, তার ডুবুরী বাহিনী দিয়ে মধুখালী প্রশাসন ও স্থানীয়দের সহযোগীতায় মরদেহ উদ্ধার করেন এবং লাশ সনাক্ত করে ফৈরদৌসের পরিবারের কাছে বুঝে দেন। ফায়ার সার্ভিস আসার আগে তারা স্থানীয়দের সহযোগিতায় নিখোঁজ ওই ছাত্রের মরদেহ খুঁজে বের করার চেষ্টা চালান। একপর্যায় বুধবার (১৫ই মে) সকাল প্রায় ৬টা ৩০ মিনিটের দিকে ওই এলাকা থেকেই ফরিদপুর জেলা ফায়ার সার্ভিস এর ডুবুরী দল এসে ডুবন্ত অবস্থায় ফৈরদোসের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পারিবারিক সূত্রে জানা যায় তার ছাত্র জীবন থেকেই মৃগীর রোগ ছিল। আরও জানা যায় এবারও ফৈরদৌস এস.এস,সি পাশ করতে পারে নাই কিন্ত তিনি একজন ভালো ক্রিক্রেটার খেলোয়াড় ছিলেন। আরও জানা যায় বুধবার ১৫ই মে -২৪ইং জোহর নামাজ বাদ ফুলবাড়ী ঈদগাহ মাঠে জানাযা শেষে তার লাশ ফুলবাড়ী কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হবে।