ফুটফুটে ছোট্ট শিশু সাফওয়ান। বয়স তার মাত্র ৯ মাস। যে বয়সে সাফওয়ানের হেঁসে খেলে বাবা-মায়ের মুখের হাঁসি ফুটানোর কথা ছিল। নিয়তির নির্মম পরিহাসের কারণে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে পিতা-মাতার সেই হাঁসি যেন এখন কান্নায় মলিন হয়ে গেছে। অসহ্য যন্ত্রণায় ছটফট করে দিন কাটাচ্ছে এখন অবুঝ শিশু সাফওয়ান। শিশুসন্তানের এই কষ্ট সইতে না পেরে কাতর হয়ে পড়েছে বাবা মোঃ শফিকুল ইসলাম ও মা সাদিয়া ইসলাম তনু। সন্তানকে বাঁচাতে এখন মানুষের দ্বারে- দ্বারে সাহায্যের আকুতি করছেন তারা। খুলনার রেলিগেট মহেশ্বরপাশা কালিবাড়ীর হতদরিদ্র বাবা বাজারের বিদ্যুৎমিস্ত্রীর কাজ করে জীবন- জীবিকা নির্বাহ করেন। দরিদ্র বাবার পক্ষে সন্তানের সুচিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা কোনভাবে এখন সম্ভব হচ্ছে না। এমতাবস্থায় সাফওয়ানের মা বলেন, বাচ্চার ফুসফুসের বাম পাশে থাইমাস। তার পিছনে টিউমার। হার্ট থেকে ফুসফুসে সরাসরি রক্ত সঞ্চালন না হওয়ার কারণে অন্য জায়গা থেকে রক্ত সঞ্চালন হচ্ছে। উল্লেখ্য তাদের বিয়ের ১০ বছর পরে সাফওয়ান জন্মগ্রহণ করে। চলতি বছরের ২৭ মার্চ ও ৩ এপ্রিল ভারতের ভুবেশ্বরে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এইমস) ও কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে বাচ্চাকে দেখানোর পর অভিজ্ঞ ডাক্তার বলেছেন, অপারেশন করতে হলে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। এমতাবস্থায় ছোট্ট শিশুটিকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন পিতা- মাতা। অর্থের অভাবে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করাতে না পেরে ফুটফুটে বাচ্চাটিকে বর্তমানে বাসায় চিকিৎসা করাচ্ছেন তার পিতা মাতা। সাফওয়ান এর মাতা অশ্রুসিক্ত কন্ঠে অবুঝ ছেলের কষ্টের কথা বলতে গিয়ে কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন। খাবার খেতে পারে না এখন সাফওয়ান। সামান্য ডাবের পানি ও লিকুউড দুধ খাওয়ানো হয় তাকে। এরপরেও মুখ দিয়ে বমি করে ফেলে দেয়। বাচ্চাটির এত কষ্ট দেখে বারংবার মায়ের বুক যেন যন্ত্রণায় ফেটে যাচ্ছে। উক্ত হতদরিদ্র পরিবারের পক্ষে তার ব্যয়বহুল চিকিৎসার খরচ বহন করা এখন আর সম্ভব হচ্ছে না। তাই সাফওয়ানকে বাঁচানোর জন্য তার মা দেশের মানবিক,বৃত্তশালীদের আর্থিক সহযোগিতা চেয়ে সাফওয়ানকে বাঁচাতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। যোগাযোগ- সাদিয়া ইসলাম তনু, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, খুলনার দৌলতপুর এজেন্ট । হিসাব নং-২০৫০৭৭৭০২০৯৫৪৪০১২ বিকাশ/নগদ (সাফওয়ানের মা) ০১৭৮৪৩০২১০৩ (পারসোনাল)।