গাজীপুরের কালিয়াকৈরে জমি লিখে না দেওয়ায় বড় ছেলের বিরুদ্ধে পিতা-মাতাকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনা সোমবার রাতে ছেলে কবির হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। বিলকিছ বেগম (৫৫) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাথা ব্যথার যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন।

এলাকাবাসী ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার ঢালজোড়া ইউনিয়নের চিনাইল এলাকার নেলুমুদ্দিন উদ্দিনের স্ত্রী ও তার দুই পুত্র সন্তান কবীর ও রাসেলকে নিয়ে বেশ সুখেই দিন যাপন করছেন। কিন্তু বড় ছেলেকে বিয়ে করার পর থেকে সংসারে অশান্তি নেমে আসে। কবীর বিয়ের পর তার স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ইপাড়া বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন। পরে ছোট ছেলে রাসেল একটি স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকুরী করে কোনো মতে পিতা মাতাকে নিয়ে দিন যাপন করেন। তার মা বিলকিছ বেগম (৫৫) দীর্ঘদিন যাবত ডায়োবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে আত্রান্ত। বড় ছেলে কবীর হোসেন পিতা-মাতাকে কোনো প্রকার ভরণ-পোষণ করেন না। উল্টো জমি লিখে নেয়ার জন্য পিতা-মাতাকে চাপ সৃষ্টি ও নানাভাবে ভয়ভীতি দেখায়। গত ১৩ জুলাই বুধবার সন্ধ্যায় বড় ছেলে কবীর হোসেন সহ ৭ জন সন্ত্রাসী লোক নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে পিতা-মাতাকে জমি লিখে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। পিতা নেলুমুদ্দিন জমি লিখে দিতে অস্বীকার করলে ক্ষীপ্ত হয়ে কবীর হোসেন তার পিতাকে বেদরক পেটায় ও গলাটিপে হত্যা করার চেষ্টা করে। এসময় মা বিলকিছ বেগম থামাতে গেলে কবীর লোহার শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করলে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটে পড়েন তিনি। ছোট ছেলে রাসেল (২৬) এগিয়ে আসলে তাকেও মারপিট ও জখম করে। তাদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে বড় ছেলে কবীর পিতামাতাকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে এলাকাবাসী তিনজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

এ ব্যাপারে পিতা নেলুমুদ্দিন বাদী হয়ে বড় ছেলে কবীর হোসেন (৩৪) কে প্রধান আসামি করে সহযোগী সাতজনের নামে কালিয়াকৈর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সোমবার রাতে কবিরপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
ঢালজোড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ইছাম উদ্দিন বলেন, ছেলে পিতা-মাতাকে পিটিয়ে মাথা ফাটানোর ঘটনার নিন্দাসহ দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।

কালিয়াকৈর থানার ওসি আকবর আলী খান জানান, এ ঘটনায় সোমবার রাতে আসামি কবিব হোসেনকে আটক করা হয়েছে।