দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি মোতাবেক আগামী শনিবার থেকে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে ট্রেন। তবে এবার ট্রেনের সংখ্যা কমবে না। বর্তমানে যত যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করছে, এর সবই চলবে।
মঙ্গলবার রেলভবনে রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলামের সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
অর্ধেক আসন ফাঁকা গেলেও ভাড়া বাড়ানো হবে না বলে রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সব জায়গায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। ট্রেন ও স্টেশনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য কড়াকড়ি আরোপ করা হবে। মাস্ক ছাড়া কাউকে স্টেশনে ঢুকতে দেওয়া হবে না। ট্রেনে খাবার পরিবেশন, রাতের ঘুমানোর বিছানা দেওয়ার ক্ষেত্রেও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হবে।
রেলওয়ে সূত্র বলছে, ট্রেনের ধারণক্ষমতার অর্ধেক আসনের টিকিট অনলাইন ও কাউন্টার—দুই জায়গায় সমানভাবে বিক্রি করা হবে। অর্থাৎ ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হবে অনলাইনে (অ্যাপ/অনলাইন)। আর বাকি ৫০ শতাংশ টিকিট স্টেশনের কাউন্টারে পাওয়া যাবে।
আরো পড়ুন> ১৬ জানুয়ারি থেকে ভার্চুয়ালি চেম্বার আদালত
২০২০ সালে করোনা সংক্রমণ শুরু হলে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ঐ বছরের জুলাই থেকে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে ট্রেন চালানো হয়। তখন অল্প কিছু আন্তঃনগর ট্রেন চালু রাখা হয়েছিল। এ জন্য ট্রেনগুলোতে যাত্রীদের চাপ বেড়ে গিয়েছিল। তাই এ দফায় ট্রেন না কমিয়েই অর্ধেক আসনে যাত্রী পরিবহন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
বর্তমানে রেলওয়ের যাত্রীবাহী ট্রেন আছে ৩৫৫টি। এর মধ্যে আন্তনগর ট্রেনের সংখ্যা ১০৮টি। বাকিগুলো মেইল, কমিউটার ও লোকাল ট্রেন। তবে রেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইঞ্জিন–কোচ সংকটের কারণে কিছু মেইল, লোকাল ও কমিউটার ট্রেন বন্ধ রয়েছে।
দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক আদেশে এটাসহ মোট ১১টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছিল, বাস, ট্রেন ও লঞ্চে অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করা হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিস্তারিত জানাবে। তার পরদিন রেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এ ঘোষণা এল।