“দেশের মানুষের ঐক্য ও লড়াই নতুন বাংলাদেশ তৈরী করার দিকে এগিয়ে নিতে হবে,উন্নয়ন মানে শিক্ষা,চিকিৎসা ও দেশের সকল মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা দেশের সম্পদ মাটির নিচে থাকুক কিংবা উপরে থাকুক এর মালিক জনগণ উন্নয়নের নামে কোন প্রাণ বিনাশী প্রকল্প দেশের মানুষ মেনে নেবেনা। ”গতকাল বুধবার ২৬ আগষ্ট ফুলবাড়ী ট্রাজেডি দিবসের জনসভায় অডিও বার্তায় উপরোক্ত কথা বলেন, তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন,এখন চিনা কোম্পানীর সাথে যুক্ত হয়ে আবারও ফুলবাড়ী খনি নিয়ে নতুন করে চক্রান্ত করা হচ্ছে,কিন্তু ১৪ বছরের শিক্ষা হচ্ছে চক্রান্ত করে কোন লাভ হবে না কারণ জনগণ সজাগ আছে জনগণ ঐক্যবদ্ধ আছে। এই ঐক্য এবং লড়াই সারা বাংলাদেশের মানুষকে শুধু সাহস দিচ্ছেনা সারা বিশ্বের সামনে একটা দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। তিনি বলেন, একটা দেশের সম্পদ মাটির নিচে থাকুক বা উপরে থাকুক সেই সম্পদের মালিক অবশ্যই জনগণ সরকার না। সরকার অস্থায়ী জনগন স্থায়ী। তাই সরকার যদি দেশ বিরোধী তৎপরতা করে,দেশের মানুষের স্বার্থ না দেখে,দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে কিছু গোষ্ঠীর স্বার্থ নিয়ে যদি সরকারের ক্ষমতা ঠিকিয়ে রাখতে চায় তাহলে জনগণের দ্বায়িত্ব ও অধিকার হচ্ছে তা রুখে দেয়া ফুলবাড়ীর জনগণ সেই দ্বায়িত্বই পালন করেছে। তিনি আরও বলেন, উন্নয়ন প্রকল্প মানে খনি করা,কিংবা জিডিপি বাড়ানো নয় উন্নয়ন মানে হচ্ছে মানুষের জীবন-জীবিকা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা,উন্নয়ন মানে হচ্ছে প্রান-প্রকৃতি পরিবেশ রক্ষা করে মানুষের শিক্ষা,চিকিৎসাসহ মৌলিক অধিকার সবার জন্য নিশ্চিত করা। সেই উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য নতুন উন্নয়নের চিন্তা আনার যে তাগিদ সেটি ফুলবাড়ী আন্দোলনের মধ্যদিয়ে তৈরী হচ্ছে। যেখানে জনগণের সম্পদ কতিপয়ের স্বার্থে ধ্বংস করা যাবে না সর্বজনের সম্পদ নিয়ে সর্বজনের স্বার্থে উন্নয়ন পরিকল্পনা সাজাতে হবে। জনসভায় তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ফুলবাড়ী শাখার আহ্বায়ক সৈয়দ সাইফুল ইসলাম জুয়েল এর সভাপতিত্বে আয়েজিত সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তব্য রাখেন, তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা কমিটি ফুলবাড়ী শাখার সদস্য সচিব জয়প্রকাশ গুপ্ত, তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য ও বাংলাদেশ ইউনাইটেড কমিনিষ্টি লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন নান্নু,আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রবিন্দ্রনাথ সরেন প্রমুখ।