গাজীপুরে দু’টি লক্ষ্মী মন্দিরের ৬টি প্রতীমার মাথা ও পা ভেঙ্গে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় শুক্রবার দু’স্কুল ছাত্রীসহ তিন ভাইবোনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রতীমা তৈরীর কারিগর হতে তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- চাঁদপুর জেলা সদরের চান্দেরবাগ এলাকার খোকন চন্দ্র দাসের ছেলে পার্থ প্রতীম দাস (১৮) ও মেয়ে করবী দাস মিতা (১৫) এবং তাদের মামাতো বোন গাজীপুর সদর উপজেলার চিলনী এলাকার রহিত মজুমদারের মেয়ে পূজা মজুমদার (১৪)। এদের মধ্যে করবী স্থানীয় এক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর এবং পূজা ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী। পার্থ এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ফেল করেছে। তারা সবাই গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের জয়দেবপুরের দক্ষিণ ছায়াবিথী এলাকায় থাকে। গাজীপুর সদর উপজেলার চিলনী-রেওলা শ্রী শ্রী লক্ষ্মী মাতা মন্দিরের সভাপতি লক্ষণ চন্দ্র দাস ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার ভোররাতে ক’দুর্বৃত্ত চিলনী এলাকাস্থিত চিলনী-রেওলা শ্রী শ্রী লক্ষ্মী মাতা মন্দিরে হানা দেয়। তারা মন্দিরের লক্ষ্মী, জয়া, বিজয়া ও রাধাসহ ৫টি প্রতীমার ৫টি মাথা ও ৮টি পা ভেঙ্গে নিয়ে যায়। এসময় তারা পাশর্^বর্তী শ্রী শ্রী লক্ষ্মী মাতা মন্দিরেও হানা দিয়ে লক্ষীর মাথা ভেঙ্গে নিয়ে যায়। সকালে স্থানীয়রা এ ঘটনা জানতে পারে। জয়দেবপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আফজাল হোসাইন জানান, শুক্রবার সকালে প্রতীমার ৬টি মাথা ও ৮টি পা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় দড়ি বলধা এলাকায় টহল পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। এসময় তাদের ব্যাগ থেকে প্রতীমার মাথা ও পা’গুলো উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বিকেলে লক্ষণ চন্দ্র দাস বাদী হয়ে আটককৃতদের বিরুদ্ধে জয়দেবপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। প্রতীমা তৈরীর কারিগর হওয়ার জন্য তারা মাথা ও পায়ের ‘ডাইস’ সংগ্রহের জন্য এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে গ্রেফতাকৃতরা পুলিশকে জানিয়েছে।