যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা জাহিদুল ইসলাম ওরফে মিয়া আরেফির জামিন মেলেনি হাইকোর্টে। তবে তাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না এ মর্মে রুল জারি করা হয়েছে।
আজ রবিবার এ বিষয়ে এক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আজ আদালতে আরেফিনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান মনির।
এ মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা জাহিদুল ইসলাম ওরফে মিয়া আরেফীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পল্টন থানা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৮ অক্টোবর মহিউদ্দিন শিকদার নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে আরেফিসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলার বাকি দুই আসামি হলেন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী ও বিএনপি নেতা মো. ইশরাক হোসেন। অপরের রূপ ধারণ ও মিথ্যা পরিচয় দিয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ করার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এর আগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ২৯ অক্টোবর আরেফিকে আটক করে পুলিশ। পাসপোর্ট অনুযায়ী তার আসল নাম জাহিদুল ইসলাম মিয়া। তিনি বাংলাদেশি-আমেরিকান।
জানা গেছে, পাবনায় আরেফির পৈতৃক বাড়ি রয়েছে। মাঝে মধ্যেই তিনি এই বাড়িতে আসতেন। তবে এখানে তার আত্মীয়-স্বজন তেমন কেউ নেই। বাড়ির আশপাশের মানুষ তাকে চেনেন ‘বেলাল’ নামে।
আরেফিকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সূত্র জানায়, আরেফী ২৮ অক্টোবরের (পল্টনের বিএনপির সমাবেশ) কর্মসূচির বিষয়ে বিশেষভাবে অবগত ছিলেন না। অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী তাকে বিএনপি অফিসে নিয়ে যান। সেখানে ইশরাকও উপস্থিত ছিলেন। পরে আরেফিকে তারা জো বাইডেনের উপদেষ্টা ও ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা বলে পরিচয় করিয়ে দিয়ে কথা বলার অনুরোধ জানান। তখন তিনি শিখিয়ে দেওয়া কথা বলেন।