![Daily Nabochatona](https://dailynabochatona.com/wp-content/uploads/2023/01/31BwAd3.png)
মোংলায় দুই সন্তানের জননী এক নারীকে ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কামড়িয়ে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে এক ই এলাকার জলিল মাতুব্বর(৫০) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ।পরে ওই নারীর ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এলে পালিয়ে যায় ধর্ষণের চেষ্টাকারী জলিল মাতুব্বর(৫০) নামের ঐ ব্যক্তি। মোংলা পৌর শহরতলীর সিগনাল টাওয়ার এলাকায় গত ৯ মার্চ সকাল ৯টায় এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় থানায় কয়েক দফায় এজাহার নিয়ে গেলেও মামলা নেয়নি মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ কেএম আজিজুল ইসলাম। এদিকে মামলা না নেওয়ার নিরুপায় হয়ে গত বৃহস্পতিবার (৯মে) বাগেরহাট প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন নির্যাতিতা ঐ নারীর খালা ও তার পরিবার। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী ঐ নারীর খালা বলেন, দুই সন্তানের জননী নির্যাতিতা ঐ নারী(২৮) তার বোনের মেয়ে। গত ৯ মার্চ নির্যাতিতা ঐ নারী তার সিগনাল টাওয়ার এলাকায় তার স্বামীর বাড়ীতে অবস্থান করছিলেন। এ সময় তার স্বামী-সন্তান বাড়ীতে না থাকায় সুযোগ বুঝে স্থানীয় মৃত কাদের মাতুব্বরের ছেলে জলিল মাতুব্বরতার তার ঘরে প্রবেশ করে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। বাধা দিলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড়ে রক্তাক্ত জখম করে অভিযুক্ত জলিল। এ সময় নির্যাতিতা নারীর ডাক চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে এলে পালিয়ে যায় ধর্ষক জলিল মাতুব্বর । ওই দিন রাতে নির্যাতিতা ঐ নারীকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিষয়টি লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে। এতে আরও ক্ষীপ্ত হয় জলিল মাতুব্বর, এবং নির্যাতিতার বাড়ি ঘর ভাংচুর ও পরিবারের সদস্যদের মারপিট করে । পরে জলিল মাতুব্বরকে আসামি করে মোংলা থানায় ধর্ষণ চেষ্টা ও নির্যাতনের মামলা করতে গেলে মামলা নেন নি মোংলা থানা পুলিশ। এমনকি এঘটনায় খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের লিখিত সুপারিশ থাকলেও মামলা নেয়নি মোংলা থানা পুলিশ। এমনকি নির্যাতিতার খালা থানায় লিখিত অভিযোগ নিয়ে গেলে অফিসার ইনচার্জ কে,এম আজিজুল ইসলাম থানা থেকে বরে করে দেন বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন ঐ নারী। এরপর মামলা করতে কয়েক দফা থানায় গেলেও অফিসার ইনচার্জ নানা অজুহাত দেখিয়ে মামলা নেননি। মামলা করতে থানায় যাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৬মে বিকেলে আবারো নির্যাতিতা নারীর খালা ও তার পরিবারের ওপর হামলা চালায় জলিল মাতুব্বর ও তার বাহিনী। এ হামলার ঘটনায়ও এজাহার নিয়ে গেলে থানায় মামলা নেয়নি পুলিশ। ধর্ষণের চেষ্টা ও হামলার ঘটনার মামলা না নেয়ায় নিরুপায় হয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী ও তার পরিবার। এ বিষয়ে মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণের বিষয়টি তার জানা নেই। আর মারামারির ঘটনায় থানা থেকে বের করে দেয়া হয়নি দাবী করে তিনি বলেন, এজাহারের সাথে তাদেরকে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আসতে বলা হয়েছিল। পরে তারা আর আসেননি। এজন্য মামলাও নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে অভিযোগটি তদন্ত করা হচ্ছে। তবে হামলার শিকার আহত শিশুর মা হাফিজা বেগম বলেন, মামলা করতে এজাহারে যাবতীয় সব কাগজপত্র দেয়া হলেও ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম থানা থেকে তাদেরকে বের করে দেন। এ ব্যাপারে বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আবুল হাসনাত খাঁন বলেন, বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর যে সব অভিযোগে ওসি মামলা নেয়নি, সেই অভিযোগ গুলোর কপি তার ওয়াটসএ্যাপে দিতে বলেন তিনি।