গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের উজিরধরনীবাড়ী গ্রামে পাকা রাস্তা সংলগ্ন কৃষি জমির উপর অবৈধভাবে গড়েওঠা গএগ ইট ভাটার কালো ধোঁয়ায় অতিষ্ঠ এলাকার মানুষ। অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটার ১শ’ গজ পার্শ্বে রয়েছে আরো ১টি ইট ভাটা। মানছেন না-ইট পুস্তত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ সনের ৫৯ নং ধারা। বুধবার ২০ মার্চ /২৪ এলাকাবাসির অভিযোগ অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটাটি উজিরধরনী বাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পার্শ্বে ঘনবসতিপুর্ন ও পাকা রাস্তা সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত। ভাটার মালিক ৯ এর ৫(১) ধারা ভঙ্গ করে অন্যন্য কৃষি জমির মাটি কেঁটে তা কাকঁড়ার সাহায্যে ইটভাটায় আনানেয়া করায় রাস্তা ভেঙ্গে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। এছাড়াও কয়লার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ নাই- যা নির্ধারিত মাত্রার অতিরিক্ত সালফার,আ্যশ,মারকারি বা অনুরূপ উপাদান সম্বলিত কয়লা জ্বালানী হিসাবে (আমদানি করিয়া)ব্যবহার করার ফলে প্রচুর পরিমাণে ছাই তৈরি হচ্ছে । অন্যদিকে ইটভাটা থেকে বায়ুমণ্ডলে দূষিত উপাদানও যোগ হচ্ছে। এসব দূষিত উপাদানের মধ্যে পার্টিকুলেট ম্যাটার, কার্বন মনোঅক্সাইড, সালফার অক্সাইড ও কার্বন ডাইঅক্সাইড প্রতিনিয়ত বায়ুমণ্ডলে নির্গত হচ্ছে। দূষিত ইটভাটার নির্গত ধোঁয়া বায়ুমণ্ডলের সাহায্য মানবদেহে প্রবেশ করায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে এলাকার মানুষ। বায়ুতে মাত্রাতিরিক্ত সালফার ডাইঅক্সাইডের উপস্থিতির কারণে মানুষ চোখ, নাক, গলাসহ অ্যাজমাটিক সমস্যা, ক্যান্সার, হার্ট অ্যাটাক ও অন্যান্য রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে,কৃষি জমিতে ইটভাটার ঋণাত্মক প্রভাব রয়েছে। জমির উর্বরতা ও উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। ইট ভাটা আইন ও পরিবেশ ছাড়পত্র সম্পর্কে ইটভাটার মালিক জানান,আমার এই ইটভাটার পরিবেশ ছাড়পত্র নেই। অবৈধভাবে গড়েওঠা ইটভাটা বন্ধে আইনানুগ ব্যাবস্হা নিতে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসি।