চুয়াডাঙ্গা জেলায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি মাসের ১৬ দিনে অর্থাৎ ১ অক্টোবর থেকে গতকাল ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গু ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি হয়েছে ৩৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ রোগী ১৯ জন এবং মহিলা রোগী ১৯ জন রোগী। বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রোগী ভর্তি রয়েছে ৭ জন।

বুধবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে ৪ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি ছিলেন। এবং মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন ৩ জন।

হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, চলতি মাসের ১৬ দিনে ৩৮ জন রোগী চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু জনিত সমস্যা নিয়ে ভর্তি হন। যা বর্তমান বছরে চুয়াডাঙ্গায় সবচেয়ে বেশি।

বর্তমানে সদর হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগের পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডের অন্যান্য রোগীর সঙ্গে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা করা হচ্ছে। তবে আলাদা ডেঙ্গু ওয়ার্ড এখনও ঘোষণা করা হয়নি।

পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডের এক ডেঙ্গু রোগী বলেন, আমি একজন কৃষক, ৩ দিন ধরে প্রচুর জ্বরে ভুগছিলাম। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে এসে রক্ত পরিক্ষা করি। তারপর দেখি আমার ডেঙ্গু পজিটিভ। তখন ডাক্তার আমাকে ভর্তি হওয়ার জন্য পরামর্শ দেন।

মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডের এক রোগী বলেন, হঠাৎ করেই শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। এরপর আমার প্রচুর জ্বর আসে। তখন আমি ডেঙ্গু পরিক্ষা করি। পরিক্ষা করলে আমার ডেঙ্গু ধরা পড়ে। তারপর আমি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হই।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার বলেন, অন্যান্য মাসের তুলনায় চলতি মাসে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হচ্ছে অধিক পরিমানে। এসব রোগীদের প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হাসপাতাল থেকে করা হচ্ছে। আক্রান্তদের সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে কাজ করা হচ্ছে ও জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করা, সঠিক চিকিৎসা নেওয়া এবং সচেতন হওয়া জরুরি।