নরসিংদী জেলা মনোহরদী পৌরসভার বাজারের ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে সোয়ারেজ পাইপসহ কোয়াটার কিলো রাস্তা নির্মানের কাজ পান সাবেক পৌর মেয়র আমিনুর রশিদ সুজনের বন্ধু মনোহরদী থানা সাবেক ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক বজলুর রহমান। গত ৫ মাস পূর্বে নির্মান কাজ শুরু করেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কোঠা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর থেকে লাপাত্তা ঠিকাদার ও নির্মান শ্রমিকরা। মঙ্গলবার দুপুরে মনোহরদী পৌরসভা বাজারে গেলে ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী জানায় মনোহরদী পৌরসভার বাজরের বাই পাস রোড দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে বাজারের প্রায় ৫ শত ব্যবসায়ীসহ প্রায় ২৫ হাজার পৌরবাসী। আর দলীয় প্রভাব খাটিয়ে গুরুত্বপূর্ন রাস্তাটি ২০২৩ সালে ৮ কোটি টাকা ব্যায়ে সোয়ারেজ পাইপসহ রাস্তা নির্মানের কাজ নেন সাবেক পৌর মেয়র আমিনুর রশিদ সুজনের বন্ধু সাবেক ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক বজলুর রহমান। এই প্রকল্পের সামান্য কাজ হলেও কাজের মান খুবই নিম্নমানের বলে অভিযোগ করেন পৌরবাসী। আর কাজের নামে প্রকল্পের টাকা লুটপাটের অভিযোগও রয়েছে সাবেক মেয়র আমিনুর রশিদ সুজনসহ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক বজলুর রহমানের বিরুদ্ধে। বর্তমানে প্রকল্পের প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ বাকী রেখে প্রকল্পের টাকা নিয়ে লাপাত্তা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। ছাত্র আন্দোলনের পর থেকে আর তাকে এলাকায় দেখা যায়নি। যার ফলে তিন মাস যাবৎ সম্পূর্ন বন্ধ রাস্তা নির্মানের কাজ, আর রাস্তা বন্ধ থাকায় ব্যবসা করতে না পেরে পথে বসার উপক্রম হয়ে পরেছে বাজারের ব্যবসায়ীরা। আর এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে বাজারের ব্যবসায়ীসহ হাজারো পৌরবাসী। আর রাস্তা খোরাখোরি ও বড়বড় গর্ত থাকার কারনে যানবাহনতো দুরের কথা চলাচল করতে পাচ্ছেন না জনসাধারন।আর রাস্তার গর্তে পড়ে আহত হচ্ছে অনেক পথচারী। যারফলে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মান কাজ শেষ করে জনসাধারনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবী পৌরবাসীর। ঠিকাদার বজলুর রহমান ও সাবেক পৌর মেয়র আমিনুর রশিদ সুজন বর্তমানে গাঢাকা দেওয়ায় এলাকায় না থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। এবিষয়ে জানতে চাইলে মনোহরদী পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ অরুণ মোল্লা বলেন, এখনো প্রকল্পের প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ বাকী রয়েছে, সরকার পতনের পর থেকেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্মান কাজ রেখে লাপাত্তা। আর জন দুর্ভোগের কথাচিন্তাকরে নতুন ঠিকাদার নিযোগ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা হবে বলে জানান তিনি। চলমান এই প্রকল্পের গুরুত্ব পূর্ন পথ দিয়ে চলাচল করে মনোহরদী বাজরের প্রায় ৫ শত ব্যবসায়ীসহ হাজারো পৌরবাসী।