রামগঞ্জে ডিলারদের সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে এলপি গ্যাস। রামগঞ্জ উপজেলা ব্যাপী এল পি গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধিতে গ্রাহকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এতে বিভিন্ন অজুহাতে রামগঞ্জে এলপি গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। গৃহস্থালির রান্নার কাজে ব্যবহৃত এলপি গ্যাসের মূল্য বারবার বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। রামগঞ্জে এলপি গ্যাসের কয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ী ডিলারের সিন্ডিকেট কে দায়ী করেছেন গ্রাহকরা। তারা সরকারি নির্ধারিত দামকে তোয়াক্কা না করে গ্যাস সিলিন্ডার মজুত রেখে বাজারে সংকট দেখিয়ে দাম বাড়িয়ে লক্ষ লক্ষ হাতিয়ে নিচ্ছেন। স্থানীয় এলপি গ্যাস ডিলারদের ভাষ্য, আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির কারণে রামগঞ্জ সহ সারাদেশে এলপি গ্যাসের মূল্য বেড়েছে। বর্তমানে রামগঞ্জ পৌরশহর সহ উপজেলার বাজারগুলোতে বসুন্ধরা, যমুনা, টোটাল, ওমেরা, কিন হিট,জি গ্যাস, বি এন এনার্জি, সেনা কল্যাণ নামের বিভিন্ন কোম্পানির ১০টির ব্যান্ডের সিলিন্ডারের এলপি গ্যাস বিক্রি হচ্ছে। গত জুলাই মাস থেকে উপজেলা প্রতিটি বাজারে খুচরা এলপি গ্যাস মূল্য প্রতি সিলিন্ডার ১৮শ থেকে ২হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে । এর আগে সিলিন্ডার প্রতি গ্যাসের মূল্য ছিল বসুন্ধরা ১৪৫০টাকা , অন্য গ্যাসের মূল্য ছিল ১৩৫০টাকা। বর্তমানে মূল্য বসুন্ধরা ২০০০ টাকা, যমুনা ১৬০০ টাকা, ফ্রেশ গ্যাস ১৪৮০ টাকা, টোটাল ১৬০০ টাকা, জি গ্যাস,ওমেরা, কিন হিটসহ অন্যান্য গ্যাস১৫৫০ থেকে১৬০০ টাকা অধিক বিক্রি হচ্ছ। গ্রাহকদের অভিযোগ প্রশাসনের তদারকি না থাকায় সিন্ডিগেটের মাধ্যমে সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো বারবার গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করে চলেছেন। উপজেলা শহরের অধিকাংশ মানুষ এখন গৃহস্থালির রান্নাবান্নার কাজে জ্বালানি হিসেবে সিলিন্ডারে এলপি গ্যাসের প্রতি ঝুঁকে পড়েছেন। এ কারণে রামগঞ্জে গ্যাসের চাহিদা ক্রমেই বেড়েই চলেছে। এ বিষয়ে গ্রাহকরা প্রশাসনের বাজার তদারকি ও হস্তক্ষেপ কামনা করেন।